রুনা লায়লা এইডস বিষয়ে সার্ক শুভেচ্ছা দূত হলেন

রুনা লায়লা এইডস বিষয়ে সার্ক শুভেচ্ছা দূত হলেন


উপমহাদেশের কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা এইচআইভি এইডস বিষয়ে সার্কের শুভেচ্ছা দূত হয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি গতকাল মঙ্গলবার বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে রুনা লায়লার হাতে শুভেচ্ছা দূত নিয়োগের চিঠি তুলে দেন। তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রুনা লায়লা সাংবাদিকদের বলেন, এই দায়িত্ব পেয়ে আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি নিজেকে। খুবই ভাল লাগছে এখন। নিজেকে ও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারব।

মরণব্যাধি এইচআইভি এইডস-এর বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও কার্যকর প্রতিরোধ কার্যক্রম গড়ে তুলতে কাঠমাণ্ডুভিত্তিক সার্ক সচিবালয় উপমহাদেশের তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে ‘সার্ক শুভেচ্ছা দূত’ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় গত জানুয়ারিতে। অপর দু’জন হলেন বলিউডের নায়ক অজয় দেবগন ও পাকিস্তানের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও চিত্র নির্মাতা শারমিন ওবায়েদ চিনয়। রুনা লায়লাসহ উপমহাদেশের তিন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব আগামী দু’বছর সার্ক শুভেচ্ছা দূতের দায়িত্ব পালন করবেন। ইতিপূর্বে ভারতের প্রখ্যাত অভিনেত্রী ও সমাজকর্মী শাবানা আজমী ও শ্রীলঙ্কার প্রখ্যাত ক্রিকেটার সনত্ জয়সুরিয়া এইচআইভি এইডস বিষয়ে সার্ক শুভেচ্ছা দূতের দায়িত্ব পালন করেন।

সার্ক সচিবালয় সার্কভুক্ত আটটি সদস্য দেশের বিশিষ্ট ও জনপ্রিয় ব্যক্তিদের শুভেচ্ছা দূত নিয়োগ করে থাকে। যারা সার্ক দূত হিসেবে মরণব্যাধি এইডস-এর বিরুদ্ধে এই অঞ্চলে প্রচারণা চালাবেন ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করবেন। শিশু, তরুণদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এইডস-এর ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরা ছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তিদের আরোগ্য লাভে সহায়তা দেবেন। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক কুসংস্কার ও বৈষম্য দূর করতে শুভেচ্ছা দূতগণ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।

গতকাল শুভেচ্ছা দূতের চিঠি গ্রহণের পর কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা সাংবাদিকদের আরো বলেন, শুভেচ্ছা দূতের দায়িত্ব ভালভাবে পালন করতে পারব আশা করি। এইচআইভি এইডস নিয়ে বহুবছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষের এই রোগ সম্পর্কে ধারণা খুবই কম। তাদের সচেতন করাই আমার মূল দায়িত্ব। ভারতের অজয় দেবগন ও পাকিস্তানের শারমিন ওবায়েদ চিনয়সহ আমরা তিনজন একত্রে পুরো অঞ্চলের জন্য কাজ করে যাব।

রুনা লায়লা আরো জানান যে, ইতিপূর্বে তার জাতিসংঘ এইডস সংস্থার জন্য এইডস সচেতনতা বিষয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। নায়ক আলমগীরকে সঙ্গে নিয়ে বিশেষ গানও গেয়েছেন। এ ধরনের জনসেবামূলক কাজের প্রতি তার আগ্রহ অনেক দিনের। শিশু হাসপাতালে বোন দিনা লায়লার নামে একটি ক্যান্সার ওয়ার্ড চালু আছে অনেক দিন ধরে। এখন সার্ক শুভেচ্ছা দূতের দায়িত্ব পেয়ে ভবিষ্যতে সচেতনতামূলক গান গাওয়া, চ্যারিটি শো করার পরিকল্পনা নিয়েছেন রুনা লায়লা।

অন্যান্য বিনোদন