উন্নয়নের কয়েকটি ক্ষেত্রে লক্ষণীয় অগ্রগতির জন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) তালিকায় বাংলাদেশের র্যাংকিং বদলের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন।
মঙ্গলবার সদ্যপ্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান স্মরণে আয়োজিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিশেষ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বান কি মুন বলেন, “ইতিবাচক ভবিষ্যৎ পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের মানুষের বহু যুক্তি রয়েছে।”
তিনি বলেন, “সহনশীলতা ও দুর্যোগ মোকাবিলার ওপর বাংলাদেশ উদাহরণ সৃষ্টি করছে। টেকসই উন্নয়নে নেতৃস্থানীয় এবং সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশটির দারুণ অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে।”
জাতিসংঘ মহাসচিব যোগ করেন, “শিক্ষা, মা ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, সামাজিক নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণ, জনসেবার উন্নয়ন যেমন স্যানিটেশন ও নিরাপদ পানি সরবরাহের ক্ষেত্রেও দেশটি উন্নয়ন লাভ করেছে।”
জাতিসংঘ প্রধান বলেন, “ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি অগ্রদূত হিসেবে ভূমিকা রেখেছে, এর অর্থনীতি ক্রমেই উন্নতি লাভ করছে।”
এতো সব কারণেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে শিগগির উন্নতি লাভের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানান বান কি মুন।
নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বান কি মুন বলেন, “জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে অংশ গ্রহণকারী দেশটির মহিলা পুলিশের কার্যক্রমে আমি নিজেও গর্বিত।”
বান কি মুন আরও বলেন, “বাংলাদেশের নারী-পুরুষরা একসঙ্গে কাজ করে দেখিয়েছেন যে, নারীরা পারেন না এমন কোনো কাজ নেই। নারীর ক্ষমতায়ন আমার কাজের ক্ষেত্রে প্রধান অগ্রাধিকার রাখে। বাংলাদেশের নারী-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে এ দেশের নারী পুলিশরা নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের প্রথম কাতারে রয়েছেন।”
তবে, পাশাপাশি অনেক মারাত্মক সমস্যাও বাংলাদেশকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে উল্লেখ করে বান কি মুন বলেন, “জনসংখ্যা বৃদ্ধি, সামাজিক বৈষম্য, খাদ্য ও বিদ্যুৎ মূল্যের উর্ধ্বগতি এবং তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রভৃতি বিষয়ে দেশটিকে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। একই সঙ্গে গণতন্ত্র, পুনর্বাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও আইনসম্পর্কীয় বিভাগের স্বাধীনতার জন্যও লড়তে হচ্ছে দেশটিকে।”