সেনা বাহিনীতে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টায় বেসামরিক কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ।
শনিবার সকালে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে এক অনুষ্ঠানে শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “অভ্যুত্থান চেষ্টায় যদি কোনো বেসামরিক ব্যক্তি জড়িত থাকে তাহলে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।”
সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনীর কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটা সংবিধান ও আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধ।
সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, কিছু প্রবাসী বাংলাদেশির ইন্ধনে সেনাবাহিনীতে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন ধর্মান্ধ কর্মকর্তা স¤প্রতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করার প্রয়াস চালায়, যা সেনাবাহিনীর ঐকান্তিক চেষ্টায় প্রতিহত করা হয়েছে।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ করার অভিযোগ এনে বলেন, “তারা আন্দোলনের নামে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নস্যাৎ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে সরকারকে হুমকি দিচ্ছে।”
‘বর্তমান সরকারের সময়ে সেনা সদস্যদের গুম করা হচ্ছে’- গত ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রামে এক সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার এমন অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে সেনাবাহিনীর সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দলও মনগড়া, বিভ্রান্তিকর ও প্রচারমূলক সংবাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিযোগ করে, যা সেনাবাহিনী তথা সচেতন নাগরিকদের মধ্যে অনাকাক্সিক্ষত উস্কানিমূলক বিতর্কের সৃষ্টি করে।”
ওই অভ্যুত্থান চেষ্টার কথিত ‘পরিকল্পনাকারী’ মেজর সৈয়দ জিয়াউল হককে খুঁজছে সেনাবাহিনী। সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, মেজর জিয়া সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেইসবুক ব্যবহার করে এবং মোবাইল ফোনে অন্য কর্মকর্তাদের ‘রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে’ সম্পৃক্ত হতে প্ররোচনা দেন।
ওই ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল এহসান ইউসুফসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।