প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একজন মানুষের মৌলিক অধিকার মানবাধিকারের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত এবং তাঁর সরকার জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাদের মৌলিক অধিকার পূরণে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার হচ্ছে সার্বজনীন এবং তা সর্বত্র প্রয়োগযোগ্য। তবে মানবাধিকার নিশ্চিত করতে জনগণের মৌলিক অধিকার তথা তাদের খাদ্য নিরাপত্তা, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আজ বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল (বামাকা)’র চেয়ারম্যান আবদুর রহিম খানের সভাপতিত্বে এক প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করতে গেলে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ড. ফরিদ এবং সদস্যগণের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম এবং কাজী মোজাম্মেল হক ও কাজী শাহীন আরা এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার প্রত্যেকের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতার মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে চালু কিন হার্ট অপারেশন ও ক্রস ফায়ারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি ছাড়া এই বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের ব্যাপারে তখন কেউ মুখ খোলেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত জোটের অত্যাচার ও ভয়ভীতি কেবল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, বিগত দিনে যখন কিছু ব্যক্তি তাদের নিজস্ব উদ্দেশ্য চরিতার্থে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করতে চেয়েছিলো সে সময় সেনাসদস্য ও তাদের পরিবারের মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছিল।
বর্তমান সরকার সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী, আধুনিক ও সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার সব ব্যবস্থা নিয়েছে একথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক ষড়যন্ত্র উদঘাটনের জন্য সেনা বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী পারিবারিক কলহ, জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে মানবাধিকার কাউন্সিলের ভূমিকার প্রশংসা করে যেসব অসহায় মহিলা দীর্ঘদিন থেকে কারাগারে আছে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য তিনি তাদের প্রতি আহবান জানান।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা সরকারের আইনী সহায়তা তহবিলের কথা উল্লেখ করে বলেন, মানবাধিকার কাউন্সিল আদালতে মামলা নিষ্পত্তির জন্য এই তহবিল থেকে সহায়তা নিয়ে ওই অসহায় মহিলাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারে।
মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালে এর জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যুব সমাজকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিতে হবে।