পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন অন্য প্রকল্পে নেয়ার জন্য ওয়াশিংটন যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন তিনি। গতকাল সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এ কথা জানান। এর আগে নিম্ন আদালতের বিচারকদের পে-কমিশন নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর তিনি বলেন, আমি ২৪শে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাংকে যাচ্ছি। তাদের জানাতে হবে। আমরা প্রস্তুত হয়েছি তারাও প্রস্তুত হবে। তবে পদ্মা সেতু নির্মাণে আমরা তাদের কাছে আর সাহায্য চাচ্ছি না। তিনি বলেন, ২৭শে ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটনে অবস্থিত সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিষয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি প্রতিশ্রুত অর্থ অন্য প্রকল্পে ব্যবহার করা যায় কিনা ওই বিষয়ে তাকে অনুরোধ করা হবে। বাংলাদেশ থেকে চার সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শাহরিয়ার কাদের। অর্থমন্ত্রী বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের সময় মেলেনি। সুতরাং আমরা সেখান থেকে সরে পড়েছি। সরে পড়ার পরে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন টাকা রয়েছে, যেটা আমাদের ছিল তা কিভাবে ব্যবহার করবো তা চিন্তা করছি। অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়নি। সুতরাং এটার মধ্য দিয়ে ভালো কিছু হতে পারে। ভুল বোঝাবুঝিও হতে পারে। সাক্ষাতের একটা সমাধানও হতে পারে। বাংলাদেশের জন্য বিশ্বব্যাংক এখনও বড় দাতা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের চার বিলিয়ন ডলারের মতো পাইপ লাইনে আছে। আরও বিলিয়ন বিলিয়ন সাপোর্ট আছে।