সমুদ্রসীমা নিয়ে বৃহস্পতিবার ভারতের দাবির জাবাব দেবে বাংলাদেশ

সমুদ্রসীমা নিয়ে বৃহস্পতিবার ভারতের দাবির জাবাব দেবে বাংলাদেশ

সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারতের দাবির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জবাব দেওয়ার শেষ দিন বৃহস্পতিবার। নেদারল্যান্ডের হেগে সালিশ সংক্রান্ত স্থায়ী আদালতে শেষ দিনই বাংলাদেশ ওই জবাব দেবে।

জবাবে বাংলাদেশ ভারতের দাবি করা সমদূরত্ব পদ্ধতির বিরুদ্ধে লিখিত যুক্তি তুলে ধরবে।

বাংলাদেশ মনে করে, বাংলাদেশের উপকূলীয় রেখা অবতল আকৃতির হওয়ায় ন্যায্যতার ভিত্তিতে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এ কথা জানিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত অনুবিভাগের প্রধান অতিরিক্ত সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম বাংলাদেশের জবাব চূড়ান্ত করেছেন।

তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধের রায় পাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা ইস্যুতে বাংলাদেশ ২০১১ সালের ৩১ মে দাবিনামা (মেমোরিয়াল) জমা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের জুলাইয়ে লিখিত জবাব (কাউন্টার মেমোরিয়াল) দেয় ভারত। এবার ভারতের ওই দাবির পাল্টা জবাব জমা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য, জার্মানির হামবুর্গস্থ সমুদ্র আইনবিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে (ইটলস) মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিয়ে মামলায় গত বছর ঐতিহাসিক রায় পায় বাংলাদেশ। ওই রায়ে বাংলাদেশের ন্যায্যতার দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ আশা করছে, একই দাবিতে হেগের স্থায়ী আদালতেও অধিকারের স্বীকৃতি পাবে। এই আদালতের পাঁচ জন বিচারকের মধ্যে তিন জন ইটলসে বাংলাদেশের মামলায় রায় দিয়েছেন।

বাংলাদেশের উপকূল অবতল হওয়ায় বঙ্গোপসাগরের অনেক অঞ্চল দেশের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে। এই ভূখণ্ড থেকে বিপুল পরিমাণ পলিমাটি সাগরে পড়ছে। এ ধরনের উপকূলের ক্ষেত্রে সমদূরত্ব পদ্ধতি যৌক্তিক নয়।

জার্মানির সমুদ্রসীমা নির্ধারণের একটি মামলায় ন্যায্যতার নীতি অনুসরণ করা হয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকা নির্ধারণে এই (ন্যায্যতা) নীতি আরেকবার গৃহীত হলো।

অন্যান্য অর্থ বাণিজ্য বাংলাদেশ রাজনীতি শীর্ষ খবর