বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আয়োজিত সমাবেশে জামায়াত-শিবিরকে ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্ততি নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঠে নামতে বলেছে ছাত্রলীগ। হরতালে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ রাজধানী ২৫ থেকে ৩০টি স্পটে অবস্থান করবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামে অর্ধদিবস (সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা) ও সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে জামায়াত।
ডিসেম্বরে হরতালে জামায়াত-শিবির যেসব স্পটে পিকেটিং করার চেষ্টা করেছে সেগুলোকে প্রাধ্যন্য দিয়েই এই স্পট নিধারণ করেছে ছাত্রলীগ।
তবে কেন্দ্র থেকে পুরান ঢাকার বিশ্বজিতের মতো ঘটনার যাতে না ঘটে সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ সভাপতি আনিসুর রহমান আনিস বাংলানিউজকে বলেন, “আমাদের কর্মীরা রায়সাহেব বাজার, মৎস্যভবন, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, গুলিস্তান, রামপুরা, খিলগাঁও, মতিঝিল, শাহজানপুর, লালবাগ, ওয়ারি গেন্ডারিয়া সদা প্রস্তত থাকবে।”
মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক রানা বাংলানিউজকে জানান, উত্তর ছাত্রলীগ উত্তরার আজমপুর গোলচত্বর, বিমানবন্দর গোলচত্বর, খিলক্ষেত, বাড্ডা সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে, গুলশান ডিআইটি মার্কেটের সামনে, মহাখালী, সাতরাস্তা, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট তেজগাঁ কলেজ।
এছাড়া ধানমন্ডি বাটা সিগনাল, ধানমন্ডি ৩২, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি, শ্যামলী, গাবতলী, মিরপুর ১ নম্বর গোলচক্কর, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্কর, পল্লবী ট্রাক স্ট্যান্ড, তালতলা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেবে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বলেন, “সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছাত্রলীগ মাঠে থাকবে। কোথাও শিবির পাওয়া মাত্রই গণ ধোলাই দিয়ে পুলিশে তুলে দেওয়া হবে।”
ছাত্রলীগ সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, “সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে শিবিরের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পাড়া-মহল্লায় হতে এদের প্রতিহত করতে হবে।”
অন্যদিকে, ছাত্রলীগকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে শিবির। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, “শিবির কী করতে পারে গত কয়েকদিনে শিবির তা করে দেখিয়েছে। সরকার ইচ্ছা করেই সংঘাত তৈরি করতে ছাত্রলীগকে মাঠে নামছে।”
শিবিরের সাহিত্য সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, “ছাত্রলীগের এই হুমকিকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি স্পট সম্পর্কে আমাদের সর্তক নজর আছে।”
তিনি ছাত্রলীগকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, “পুলিশ ছাড়া ছাত্রলীগ আমাদের সঙ্গে আসুক দেখা যাবে কে কতক্ষণ মাঠে থাকতে পারে।”
তিনি বলেন, “আমরা তো শান্তিপূর্র্ণ হরতাল করতে চায়। তবে সরকারের কোনো সহযোগী সংগঠন যদি আমাদের বাধা দেয় তাহলে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”