ঘরে ঘরে প্রতিরোধের দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমদ।
বুধবার বিকেল ৫টায় টঙ্গীর মিল গেটে ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এবং বিএনপি- জামায়াতের অশুভ জোটের সন্ত্রাস নৈরাজ্য ও দেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে’ ১৪ দলীয় জোট টঙ্গী থানা শাখা আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, “যারা যুদ্ধাপরাধী মানবতাবিরোধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচারকে বানচাল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে একাত্তরের চেতনা নিয়ে ঘরে ঘরে প্রতিরোধের দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।”
টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হকের সভাপতিত্বে জনসভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল, টঙ্গী পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট আজমতউল্লাহ খানসহ ১৪দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথির ভাষণে মতিয়া চৌধুরী বলেন, “সারা পৃথিবী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে সমর্থন করছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানসহ সারা পৃথিবী আমাদের পাশে রয়েছে। সুতরাং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কেউ বানচাল করতে পারবে না।”
বিএনপিকে জামায়াতের মদদদাতা এবং একে অপরের পরিপূরক উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিএনপি এবং জামায়াত মিলে কি হয়? বৃহত্তর জামায়াত। এ দুই অপশক্তি মিলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের পাঁয়তারা করছে।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, “আইন-শৃঙ্ঘলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
রাশেদ খান মেনন বলেন, “হরতাল মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু যে হরতাল যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাবার জন্য, খুনিদের রক্ষার জন্য, সেই অবৈধ হরতাল আমরা মানি না। মানবো না। মানবো না।”