বাংলাদেশ থেকে পাটজাত পণ্য আমদানির ইচ্ছা দেখিয়েছে আফ্রিকান রপ্তানী বাণিজ্য সংগঠন (ইটিজি)। একই সঙ্গে সংগঠনটি বাংলাদেশে তুলা রপ্তানিরও প্রস্তাব দিয়েছে।
এছাড়া তাঞ্জানিয়াভিত্তিক এ সংগঠনটি বাংলাদেশে সরকার টু সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে ইউরিয়া সার সরবরাহ করতে বিশেষভাবে আগ্রহী।
বাংলাদেশে সুষ্ঠু সার সংরক্ষণের জন্য গুদাম স্থাপনের ক্ষেত্রেও সংগঠনটি প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সফররত ইটিজি প্রতিনিধিদলের চেয়ারম্যান মহেশ প্যাটেল, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে এ প্রস্তাব দেন।
শিল্পমন্ত্রীর দফতরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের মিয়ানমারে কান্ট্রি হেড সঞ্জয় পি জেন, কেন্দ্রীয় সার বাণিজ্য বিষয়ক বিভাগের প্রধান আশীষ লাখোটিয়া, এগ্রি কমোডিটিস অ্যান্ড ফাইন্যান্সের বাংলাদেশ প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম ও সুশীল বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের কৃষি ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠকে ইটিজির প্রতিনিধিরা বলেন, কৃষিখাতে বাংলাদেশের ব্যাপক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আফ্রিকার দেশগুলোতে কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব।
তারা আফ্রিকার উগান্ডা, তাঞ্জানিয়াসহ অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের কৃষি উদ্যোক্তাদের চুক্তিভিত্তিক উৎপাদনে এগিয়ে আসার পরামর্শ দেন।
বিশেষ করে ভুট্টা, গম, পশু খাদ্য ও তুলা উৎপাদনে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা আফ্রিকাতে বিনিয়োগ করতে পারবে বলে তারা মন্তব্য করেন।
শিল্পমন্ত্রী আফ্রিকায় বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিলে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা আফ্রিকায় চুক্তিভিত্তিক কৃষি উৎপাদনের বিনিয়োগে এগিয়ে যাবে।’
দিলীপ বড়ুয়া বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তি, তৈরি পোশাক, রাসায়নিক সারসহ সম্ভাবনাময় শিল্পখাতে আফ্রিকান উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বিশাল জনসংখ্যার জন্য বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণভাবেই বিরাট বাজার রয়েছে।প্রতিবছর ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স প্রবাহ এবং শিল্পায়নের কারণে জনগণের ক্রয় ক্ষমতা দ্রুত বাড়ছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে আফ্রিকার উদ্যোক্তারা লাভবান হতে পারে।’
বাংলাদেশের শিল্পখাতে বিনিয়োগে এগিয়ে এলে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোক্তাদের সম্ভব সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।