চলমান পেট্রোলপাম্প ধর্মঘট নিরসনে মন্ত্রণালয়ে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক শুরু হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিকেল সাড়ে ৩টায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে সরকারের পক্ষে রয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক, জ্বালানি বিভাগের সচিব মেজবাহ উদ্দিন, বিপিসির চেয়ারম্যন ইউনুসুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ধর্মঘট আহ্বানকারী সংগঠন বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাঙ্ক-লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক নাজমুল হক, সদস্য সচিব হারুণ উর রশীদ বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ৯ দফা দাবিতে রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করে বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প ও ট্যাঙ্ক-লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
৯ দফায় রয়েছে, সরকার গঠিত কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী জ্বালানি তেল বিক্রিতে ডিজেলে ৩ দশমিক ৪ ভাগ, পেট্রোল ও অকটেনে ৪ ভাগ কমিশন নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন।
ট্যাঙ্ক-লরির ভাড়া বৃদ্ধি, এর চালকদের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ও কাগজপত্র নিয়ে বিশেষ বিবেচনায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন; ট্যাঙ্ক-লরি চালকদের প্রয়োজনীয় প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে পাঁচ লাখ টাকার দুর্ঘটনা বীমা চালু; পেট্রোলপাম্প স্থাপনে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) কর্তৃক একতরফাভাবে প্রণীত নীতিমালা সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ, চট্টগ্রাম, ফতুল্লা, দৌলতপুর-খুলনা, চাঁদপুর ও সিলেটসহ যেসব স্থানে টার্মিনাল নেই, সেখানে নতুন টার্মিনাল নির্মাণ ও গোদনাইলে পদ্মা ও মেঘনা টার্মিনাল সংস্কার; তেলের ভেজালরোধ ও অবৈধ তেল বিক্রি বন্ধ, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) টলারেন্স মাত্রা যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ এবং শ্রমিক নেতা মীর মোকসেদ ও আমির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা।