গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘পশ্চিমারা বলে বাংলাদেশে উন্নয়নের দশক চলছে। সব ভাঁওতাবাজির রাজনীতি। আমরা বলি ধ্বংসের দশক চলছে। উন্নয়নের কথা বললে সরকার বলে টাকা নাই। টাকা না থাকলে হল-মার্ক কেলেঙ্কারি কেন হলো? হাজার হাজার কোটি টাকা কেন লুট হলো?’
আজ শনিবার সোনারগাঁও রোডের হামদর্দ ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পল্লি চিকিত্সক সমিতির জেলা প্রতিনিধি সম্মেলনে ড. কামাল এ কথা বলেন। সম্মেলনে বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
ড. কামাল বলেন, দঅসত্ ব্যবসায়ী আর অসত্ রাজনীতিবিদেরা দেশটাকে ধ্বংস করেছে। জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পঙ্গু হয়ে গেছে। ব্যাংকগুলো লুট হয়ে গেছে। এভাবে গণতন্ত্র টিকতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ আর সংসদ সঠিকভাবে চললে দেশ ভালোভাবে চলবে। কালোটাকা থেকে রাজনীতি মুক্ত করতে হবে। দেশ হলো জনগণের, এখানে রাজতন্ত্র চলবে না।’
বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, সরকারিভাবে পল্লি চিকিত্সকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে প্রতিটি গ্রামে একজন করে চিকিত্সক থাকেন।
সরকারি দলের সমালোচনা করে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘যে সরকার জনগণের জন্য একটি দায়িত্বও পালন করে নাই, তাদের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নাই। সংসদে এসব কী ভাষায় কথাবার্তা হয়? এরা কি ভদ্রতা শেখে নাই? এদের কথাবার্তায় স্পিকারও অসহায় হয়ে পড়েন।’
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন বলেন, ‘আগের সরকারের সময়ে ছিল হাওয়া ভবন। এখন আছে খাওয়া ভবন। সরকার, সরকারের শীর্ষ নেতা ও তাদের আত্মীয়স্বজন দেশে লুটপাট করে যাচ্ছে।’
পল্লি চিকিত্সক সমিতির সভাপতি সবুজ আলী বলেন, ‘আগের সরকার পল্লি চিকিত্সকদের স্বীকৃতি দেয়নি। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার আগে ওয়াদা করেছিলেন, ক্ষমতায় গেলে পল্লি চিকিত্সকদের স্বীকৃতি দেবেন। ক্ষমতায় গিয়ে তিনি তা করেননি। উল্টো আইন করেছেন, পল্লি চিকিত্সকেরা নামের আগে “ডাক্তার” পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। যাঁরা কথা দিয়ে কথা রাখেন না, পল্লি চিকিত্সক সমিতি তাঁদের সঙ্গে আর কোনো কাজ করবে না।’