স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিজবুত তাহরীর লিফলেট এবং খালেদা জিয়ার বক্তব্য এক ও অভিন্ন। খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার উপর হিংসা পরায়ন হয়ে জনগণের উপর হিংসা চরিতার্থ করছে। তাই জনগণ চায় খালেদা জিয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষিত করা হওক।
রোববার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত ‘বিএনপির মদদে গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতের জঙ্গিবাদের ষড়যন্ত্রকারী প্রতিবাদ’ শীর্ষক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি লালদিঘিতে, ১৯৯১, ২০০১ রাজধানীর পলওয়েলে এরপর কোটালীপাড়ায় এবং তারেকের নেত্রীত্বে ২০০৪ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু জনগণ তাদের সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। আগামীতেও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।
ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে সরকার দলীয় চিফ হুইফ মীর্জা আজম বলেন, খালেদা জিয়া শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। দুর্নীতির সাজা থেকে নিজেকে বাঁচাতেই তিনি এটা করতে চেয়েছিলেন। সেই সঙ্গে ছেলে তারেক জিয়াকে দুর্নীতি ও ২১ আগষ্ট হামলার মামলা থেকে বাঁচাতে এবং যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির হাত থেকে রক্ষা করতেই এটা কর চেয়েছিলেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে মীর্জা আজম বলেন, বিচার বিলম্বিত করা হচ্ছে। ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ এটা করছে কিনা তা তদন্ত করে তাদের চিহ্নিত করার জন্য সরকারের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে আগামী দিনের বেশকিছু কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে আগামী ২৬ জানুয়ারি জেলা, ২৮ জানুয়ারি থানা পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে যুবলীগ। এর মধ্যে ২৮ জানুয়ারি থেকে ১ মাসব্যাপী ঢাকার প্রতিটি থানায় তাদের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিল চলবে। ৩০ জানুয়ারি ঢাকায় একটি মানববন্ধনও করা হবে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুখ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান হিরন, মঞ্জুরুল আলম শাহীন, অ্যাডভোকেট মামুন-অর রশিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।