শ্যামগঞ্জ-ময়মনসিংহ রেলপথের জারিয়া লোকাল ট্রেনে মঙ্গলবার দিনগত রাতে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতদের হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ১০ যাত্রী।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধ ট্রেন যাত্রীরা রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই ট্রেনের বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ময়মনসিংহ রেলস্টেশনের ডাকাতি হওয়া ট্রেনের কর্তব্যরত গার্ড রোকন উদ্দিন জানান, ‘নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ৩৭৫ নং জারিয়া লোকাল ট্রেনটি গৌরীপুর রেলস্টেশনের আউটার সিগন্যালের কাছে পৌঁছুলে মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে কয়েকটি বগিতে ডাকাতি হয়।
ডাকাতদল যাত্রীদের মোবাইল ফোন, নগদ টাকাসহ সর্বস্ব লুটে নিয়ে যায়। ডাকাতদের হামলায় কমপক্ষে ১০ ট্রেন যাত্রী আহত হয়। অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম জানা যায়নি।’
ময়মনসিংহ রেলস্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ডাকাতি হওয়ার পর ট্রেনটি শম্ভুগঞ্জ রেলস্টেশন এলাকায় পৌঁছুলে উত্তেজিত যাত্রীরা ট্রেনের ১৯৩৩ নম্বর বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় (রাত সাড়ে ১০টা) স্থানীয় দমকল বাহিনীর সদস্যরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছিল বলে জানান ময়মনসিংহ রেলস্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট আবুল কালাম আজাদ।
ময়মনসিংহ জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। তবে আহতদের নাম জানা সম্ভব হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আগুনে ট্রেনের বগিটি একেবারেই পুড়ে গেছে।’
অন্যদিকে ডাকাতরা যাত্রীদের কাছ থেকে কত টাকার মালামাল লুট করেছে সে ব্যাপারেও তিনি কোনো তথ্য তিনি দিতে পারেননি।
শম্ভুগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার আমিনুল ইসলাম জানান, ট্রেনটি থামার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ বগিটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে দিকে স্থানীয় দমকল বাহিনীর কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ডাকাতকবলিত ট্রেনটির পরিচালক (গার্ড) রোকন উদ্দিন জানান, ট্রেনটিতে রেলওয়ের কোনো নিরাপত্তা কর্মী ও জিআরপি পুলিশ ছিল না। ফলে ডাকাতরা নির্বিঘেœ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
শম্ভুগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আনন্দ মোহন কলেজের, বোটানির ছাত্র নাসির উদ্দিন মাহমুদ সুজন বলেন, ‘শত শত যাত্রীর চিৎকার শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি ট্রেনের বগিতে আগুন জ্বলছে। অন্ধ এক ব্যক্তিকে ট্রেনের ধোয়া থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করি। এ সময় আমি ৮-১০ জন যাত্রীকে আহত অবস্থায় বেরিয়ে আসতে দেখেছি।’