আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মহিউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, তথাকথিত ক্যু’র মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। যারা এই ক্যু’র সঙ্গে জড়িত তাদেরকেও যুদ্ধাপরাধীদের মতো বিচারের আওতায় আনা হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্বাধীনতা পরিষদ ও বিশ্ব বাঙালি সম্মেলনের উদ্যোগে ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত করো’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। বিশ্ব বাঙালি সম্মেলনের সভাপতি অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ করিম।
মহিউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, যাদের জন্ম সেনা ছাউনিতে, তারাই শুধু ক্যু’র মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই বিচার আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। এই বিচার করে আমরা দেখিয়ে দিতে চাই, অপরাধীদের এই বাংলার মাটিতে ঠাই নাই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় যারা বাধা দিচ্ছে, তারাও একই অপরাধে অপরাধী। তাদের বিচারও বাংলার মাটিতেই হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, দেশের সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার রাতারাতি সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। একটি ট্রাইব্যুনাল কাজ করছে। শীঘ্রই আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। ২০১২ সালের মধ্যেই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করা হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের কোথাও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ায় নাই। বাংলাদেশে একটি পক্ষ দাঁড়িয়েছে। এটি পুরো জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করে বাংলার মাটি থেকে ‘স্বাধীনতা বিরোধী’ শব্দটি দূর করতে চাই।