প্রিয় দেশবাসী,
আসসালামু আলাইকুম।
• আপনাদের বিপুল ভোটে নির্বাচিত বর্তমান সরকারের চার বছর পূর্ণ হয়েছে গত ৬ই জানুয়ারি।
• ২০০৮ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতি, স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির প্রতি, রূপকল্প ২০২১ এর প্রতি, ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপনের জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
• চার বছর পর আজ আমরা গর্বভরে বলতে পারছি নির্বাচনের প্রাক্কালে যেসব অঙ্গীকার আপনাদের কাছে দিয়েছিলাম, নানামুখী প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি।
• কোনো কোনো ক্ষেত্রে লক্ষ্যের চেয়েও বেশী অর্জন করেছি।
• সামনের দিনগুলোতেও আপনাদের সাথে নিয়ে আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
• বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি আজ খুব দৃঢ় অবস্থানে আছে। সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিটি সূচক ইতিবাচক ধারায় এগুচ্ছে।
• জাতিসংঘসহ আন্ত্মর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছে।
• বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
• বিশ্বশান্ত্মি প্রতিষ্ঠায় আমি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২০১১ সালের অধিবেশনে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে “জনগণের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন মডেল” উত্থাপন করি। গত মাসে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্র সর্বসম্মতিক্রমে এই প্রসত্মাব পাশ করেছে।
• ২০১১ সালে আমাদের উত্থাপিত “শান্ত্মির সংস্কৃতি” প্রসত্মাবটিও এবার পাশ হয়েছে।
• আমার কন্যা সায়মা হোসেন পুতুলের উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী “অটিজম সচেতনতা” সৃষ্টির লক্ষ্যে আরেকটি প্রসত্মাব গত বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উত্থাপন করি। সেটিও গত মাসে সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়েছে।
• এটি বাংলাদেশের জন্য এক বিরল সম্মান।
• বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে বীরের জাতি হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল। ৪১ বছর পর বাংলাদেশ আবার আন্ত্মর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে।
• দেশের এ অর্জনে সরকারের পাশাপাশি জনগণ আপনাদেরও অবদান রয়েছে।
• এজন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
প্রিয় দেশবাসী,
• জাতির এ শুভলগ্নে আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
• যিনি ২৪ বছর জেল-জুলুম-অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ে অটল থেকেছেন।
• তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালি জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
• আমি গভীর বেদনার সাথে স্মরণ করছি, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের শিকার আমার মা-বাবা-তিন ভাইসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্য ও সকল শহীদকে।
• স্মরণ করছি, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে।
• স্মরণ করছি, ত্রিশ লক্ষ শহীদকে। যাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। পেয়েছি স্বাধীন ভূখণ্ড। লাল-সবুজের পতাকা। নিজস্ব জাতীয় সঙ্গীত।
• জাতির শ্রেষ্ঠ সন্ত্মান মুক্তিযোদ্ধাদের জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
• সহমর্মিতা জানাচ্ছি, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী ও যুদ্ধাপরাধীদের কাছে সম্ভ্রম হারানো দুই লক্ষ মা-বোনের প্রতি। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি।
• স্মরণ করছি, ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ-এ বর্বর গ্রেনেড হামলায় নিহত আইভী রহমানসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরকে।
• স্মরণ করছি, বিএনপি-জামাত জোটের খুন, হত্যা, অত্যাচার ও দুঃশাসনের নির্মম শিকার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া এমপি, শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপিসহ আওয়ামী লীগের ২২ হাজার নেতা-কর্মী ও নিরীহ মানুষকে।
• স্মরণ করছি, বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাঙালি জাতির ভোট ও ভাতের অধিকার আদায় করতে গিয়ে যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদেরকে।
প্রিয় দেশবাসী,
• আপনাদের মনে আছে, আমরা ২০০৯ সালের ৬ই জানুয়ারি যখন সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেই তখন দেশে চরম দুরবস্থা বিরাজ করছিল।
• সর্বত্র এক ভীতিকর অবস্থা, থমথমে ভাব। খাদ্যপণ্যের দাম ছিল আকাশচুম্বী। লোডশেডিং-এ জনজীবন ছিল বিপর্যসত্ম। ব্যবসায়ী-বিনিয়োগকারীরা ছিল আতঙ্কিত। কৃষিজীবী ভাইবোনেরা সেচ, সার ও বীজের দুর্মূল্যের কারণে চাষাবাদ করতে পারছিল না। জনগণ চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছিলেন। মানবাধিকার ছিল বিপন্ন। স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ ছিল না।
• আন্ত্মর্জাতিক অঙ্গনে আর্থিক সঙ্কট ও মন্দা চলছিল। খাদ্যপণ্যসহ সব ধরণের পণ্যের দাম বাড়ছিল।
• সরকার গঠনের পর এক অগ্নিপরীক্ষার মধ্যে পড়েছিলাম। তাই সরকারের প্রথম দিনই মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক করে তাত্ক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী করণীয় নির্ধারণ করি। শুরু হয় সরকারের এক মহা কর্মযজ্ঞ।
• এই চার বছর সরকার অক্লান্ত্ম পরিশ্রম করেছে। আপনারা সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করেছেন। দেশ দ্রুত এগিয়ে গেছে। প্রতিটি পরিবারে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
প্রিয় দেশবাসী,
• বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও আমরা গড়ে সাড়ে ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি।
• চার বছরে ২০ লক্ষ ৪০ হাজার জনশক্তির বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। গত সরকারের চার বছরে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছিল।
• চার বছরে রেমিটেন্স এসেছে প্রায় ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। যা বিগত সরকারের একই সময়ের চেয়ে ৪ গুণ বেশী।
• রপ্তানি আয় ২০০৮ সালে ১ হাজার ৪১১ কোটি ডলার থেকে গত অর্থবছরে ২ হাজার ৪৩০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে।
• আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৩ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ। বিএনপি সরকারের আমলে ২০০৬ এ ছিল ৩ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার।
• স্পীকার ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং সরকারী কর্মকর্তাদের আয় করের আওতায় আনা হয়েছে।
• চার বছরে রাজস্ব আদায় দ্বিগুণ বেড়েছে। ফলে উন্নয়ন কর্মসূচীতে বেশী অর্থ ব্যয় করতে পেরেছি। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
• ২০০৮-এ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে যেখানে ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছিল সেখানে আমরা চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ দিয়েছি ৫৫ হাজার কোটি টাকা।
• চার বছরে প্রায় ৩৮২ কোটি ডলার বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছে। বিগত সরকারের একই সময়ে এসেছিল ১৮৭ কোটি ডলার।
• আন্ত্মর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রাকে বিরাট অর্জন বলে আখ্যায়িত করেছে। সংস্থাগুলো সরকারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেছে।
• দীর্ঘমেয়াদে প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষ দেশ। বাংলাদেশকে ভবিষ্যত্ প্রবৃদ্ধি-ইঞ্জিন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রিয় দেশবাসী,
• দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থান নিয়েছি।
• দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করা হয়েছে। দুদক এখন স্বাধীনভাবে কাজ করছে।
• তদন্ত্মের স্বার্থে দুদক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, এমপি, সচিবকে তলব করছে। বার বার জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারছে। মামলা দিচ্ছে। বিএনপি-জামাত জোটের সময় কি এমনটা কল্পনাও করা যেত? দেশবাসী আপনারাই তা বিচার করবেন।
• সকল অনিয়ম দূর করার স্বার্থে হলমার্ক ও ডেসটিনির অর্থ আত্মসাতের সাথে জড়িতদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে এবং থাকবে।
• অর্থ পাচার রোধে আমরা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন করেছি।
• পুঁজিবাজারকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পুনর্গঠন করা হয়েছে।
• যুদ্ধাপরাধী-স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচার আজ গণদাবীতে পরিণত হয়েছে। বাংলার শিশু-কিশোর-যুবক-বৃদ্ধ ও আপামর মা-বোনসহ প্রতিটি মানুষই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়।
• এ দাবীকে অগ্রাহ্য করে বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য মাঠে নেমেছে। নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। জামাত ধ্বংসাত্মক পথ বেছে নিয়েছে।
• যুদ্ধাপরাধীদের সাথে বিএনপি’র ঐক্য নতুন কিছু নয়। তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালে অবৈধ মার্শাল ল’ সরকার গঠন করে। তারপর যুদ্ধাপরাধী-স্বাধীনতাবিরোধীদেরকে পুনর্বাসন শুরু করে। তাদেরকে জেল থেকে মুক্ত করে। অনেককে দেশে ফিরিয়ে আনে। নাগরিকত্ব দেয়। রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করে। প্রধানমন্ত্রী, উপদেষ্টা-মন্ত্রী বানায়।
• বিএনপি-জামাত যতো ষড়যন্ত্র করুক, যতো অপচেষ্টা করুক, যুদ্ধাপরাধী, যারা মা-বোনদের সম্ভ্রম হরণকারী, বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী, বাঙালির ঘরে ঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতনকারী তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই। আমি দেশবাসী আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করি। দোয়া চাই।
প্রিয় দেশবাসী,
• বিডিআর বিদ্রোহের অভিযোগে ৫৭টি ইউনিটের ৬ হাজার ৪১ জনের বিচারকাজ শেষ হয়েছে। ৫ হাজার ৯২৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে।
• হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন ফৌজদারী অপরাধের জন্য ৮৫০ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিচারকাজ অব্যাহত রয়েছে। বিচারকাজ দ্রুত শেষ হবে। ইনশাল্লাহ।
• একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার বিচারকাজও চূড়ান্ত্ম পর্যায়ে আছে।
প্রিয় দেশবাসী,
• সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার আইন, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ সুরক্ষা প্রদান আইন, মানবাধিকার কমিশন গঠন করা হয়েছে।
• প্রায় ৪১ হাজার অসহায় দরিদ্র মানুষকে সরকারী খরচে আইনগত সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
• মামলাজট কমাতে উচ্চ আদালতে ৭১ জন ও নিম্ন আদালতে ১২৫ জন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
• ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে।
• জনপ্রশাসনকে দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক করা হয়েছে।
• নারীর অধিকার সুরক্ষায় পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন করেছি।
• মাতৃত্বকালীন ছুটি ৪ মাস থেকে বাড়িয়ে ৬ মাস করেছি।
• নারী ও শিশু পাচার বন্ধ হয়েছে। এসিড সন্ত্রাস হ্রাস পেয়েছে।
• দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
• ঈদ-দুর্গাপূজা-বুদ্ধপূর্ণিমা-বড়দিন শান্ত্মিপূর্ণভাবে সার্বজনীন উত্সব হিসেবে উদযাপিত হয়েছে।
• ২০১২ সালে রেকর্ড ১ লক্ষ ১০ হাজার মুসলমান পবিত্র হজ্জ্ব পালন করেছে।
• অর্পিত সম্পত্তির গেজেট ইতোমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। প্রত্যর্পণের লক্ষ্যে ট্রাইব্যুনাল ও জেলা কমিটি কাজ শুরু করেছে।
• শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় তৈরি পোশাকখাতসহ এবং অন্যান্য শিল্পখাতের শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে।
প্রিয় দেশবাসী,
• জাতির পিতার নির্দেশে ১৯৭৪ সালে প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে “ফোর্সেস গোল ২০৩০” এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনীর পুনর্গঠন ও আধুনিকায়নের কাজ শুরু হয়েছে।
• সেনাবাহিনীর জন্য চতুর্থ প্রজন্মের ট্যাংক, সেলফ প্রোপেল্ড গান, ওয়েপন লোকেটিং রাডার, অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার, আর্মার্ড রিকভেরি ভেহিক্যাল ক্রয় করা হয়েছে।
• নৌ বাহিনীর জন্য মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্র্যাফট ও হেলিকপ্টার, ফ্রিগেট, করভেট লার্জ পেট্রল ক্র্যাফট এবং হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে জাহাজ ক্রয় করেছি। স্পেশাল ফোর্স গঠন করা হয়েছে।
• বিমান বাহিনীতে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য মিসাইল যুক্ত করা হয়েছে। কক্সবাজারে নতুন বিমান ঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছে। কুর্মিটোলায় বঙ্গবন্ধু এ্যারোনটিক্যাল সেন্টারের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে।
• আমরা পুলিশ বাহিনীকেও আধুনিকায়ন করেছি। ৩৩ হাজার সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এসআই ও টিএসআই-এর পদ ৩য় শ্রেণী থেকে ২য় শ্রেণীতে এবং ইন্সপেক্টরের পদ ১ম শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে গতিশীল করার জন্য হেলিপ্টার ক্রয় করা হয়েছে।
• আনসার ও ভিডিপিতে ২ হাজার ২৩৫ টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
• বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘ শান্ত্মিরক্ষা বাহিনীতে সর্বোচ্চ শান্ত্মিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ।
• আমাদের নারী পুলিশরাও শান্ত্মিরক্ষায় নিয়োজিত আছে।
• অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ও ভূমিকম্পে উদ্ধার কাজে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করে ফায়ার সার্ভিসকে শক্তিশালী করা হয়েছে। প্রতি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের কাজ অব্যাহত আছে।
প্রিয় দেশবাসী,
• প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থেকে টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। তাই আমরা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ২০২১ সালের মধ্যে “ডিজিটাল বাংলাদেশ” গড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করি।
• এই চার বছরে আমরা ব্যাংকিংসহ সকল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, সেবা প্রদান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ নিশ্চিত করেছি। সব বয়সী জনগণ এই প্রযুক্তিকে গ্রহণ করেছে।
• আমরা প্রতিটি ইউনিয়নে ইন্টারনেট সার্ভিস ও তথ্য সেবা কেন্দ্র চালু করেছি। এগুলো থেকে প্রতিমাসে ৪০ লক্ষ গ্রামীণ মানুষ ই-সেবা নিচ্ছেন।
• ইন্টারনেটের গতি বাড়িয়েছি ও ব্যয় কমিয়েছি।
• ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা সাতগুণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৪ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।
• ১০ কোটি মোবাইল সিম বাংলাদেশে ব্যবহূত হচ্ছে।
• 3G মোবাইল ফোন চালু হয়েছে। গ্রাহকরা ভিডিও কল করাসহ উন্নত ডিজিটাল সেবা পাচ্ছেন।
• মায়ানমারের সাথে সমুদ্র জয়ের ফলে বঙ্গোপসাগরের ১ লক্ষ ১১ হাজার ৬৩১ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
• আমরা এ পর্যন্ত্ম ৩৮৪৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৪টি বিদ্যুত্ কেন্দ্র নির্মাণ করেছি। সর্বোচ্চ ৬৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ সরবরাহ করেছি। বিদ্যুত্ উত্পাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ৮৫২৫ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়েছে।
• ৫২৮৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরো ২৬টি বিদ্যুত্ কেন্দ্র নির্মাণাধীন আছে।
• এক হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুত্ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে রাশিয়ার সাথে চুক্তি করা হয়েছে।
• সৌর বিদ্যুত্ উত্পাদনকে আমরা উত্সাহিত করছি।
• কয়লা ও গ্যাসভিত্তিক তিনটি বড় বিদ্যুত্ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
• ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ আমদানি শীঘ্রই শুরু হবে।
• শিক্ষাকে আমরা সবসময় গুরুত্ব দেই।
• ২৭ কোটি বই বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে। ৭৮ লক্ষ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে।
• ২৬ হাজার ২০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়েছে এবং ১ লক্ষ ৪ হাজার শিক্ষকের চাকুরী সরকারীকরণ করা হচ্ছে।
• সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদ তৃতীয় শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়েছে।
• ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাফল্য বয়ে এনেছে।
• ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একদিনের আন্ত্মর্জাতিক খেলায় আমাদের টাইগাররা সিরিজ জয় করেছে।
• ফুটবল ও অন্যান্য খেলায় মানোন্নয়নের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
• আন্ত্মঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু করা হয়েছে।
• স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ১৫ হাজার কম্যুনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে চিকিত্সা সেবা দেয়া হচ্ছে।
• ডাক্তার ও হেলথ প্রোভাইডার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
• হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
• কার্ডিয়াক, বার্ন ইউনিট, ক্যান্সার, কিডনী ও শিশু চিকিত্সা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
• সরকারী খাতে ৫ লক্ষ ও বেসরকারী খাত মিলিয়ে ৭৫ লক্ষের অধিক মানুষের কর্মসংস্থান করা হয়েছে।
• একটি বাড়ি একটি খামার, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, প্রতিবন্দ্বী ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ, টেস্ট রিলিফ, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচীর মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সৃষ্টি করা হয়েছে। এর ফলে আমাদের দারিদ্র্যের হার ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
• গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে।
• বন্ধ হয়ে যাওয়া পাটকলগুলো আমরা পুনরায় চালু করেছি। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। পাটের জন্ম রহস্য আবিষকৃত হয়েছে।
• মাছের উত্পাদন ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। জেলেদের আইডি কার্ড দেয়া হয়েছে।
• জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় বনায়ন ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
• ৩ কোটি ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য উত্পাদন হয়েছে। সেই সাথে ডাল, মসলা, তৈলবীজ, ফল ও সবজি উত্পাদনে কৃষকদের বিশেষ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
• যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে রাসত্মাঘাট, পুল, ব্রিজ ব্যাপকভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। নতুন রেল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে এবং নতুন নতুন রেল চালু করা হচ্ছে।
• চট্টগ্রাম বন্দর, মংলা বন্দর এবং স্থল বন্দরগুলোর উন্নয়ন সাধন করা হয়েছে।
• নদী ড্রেজিং করে নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং নদীপথগুলো সচল করা হয়েছে এবং এটি অব্যাহত আছে।
• রাজধানীতে স্বাভাবিকভাবেই মানুষের চাপ বাড়ছে। এর সাথে সঙ্গতি রেখে বিদ্যুত্, গ্যাস ও পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন, যানজট হ্রাস, জলাবদ্ধতা নিরসন, সৌন্দর্য্যবর্ধন ইত্যাদি কাজ আমরা করে যাচ্ছি।
• বনানী ওভারপাস চালু হয়েছে। মিরপুর-এয়ারপোর্ট রোড ফ্লাইওভার, গুলিসত্মান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার ও বনানী-কুড়িল ফ্লাইওভার শীঘ্রই চালু হবে। এয়ারপোর্ট-যাত্রাবাড়ী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ আরো কয়েকটি ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলছে।
• কয়েকটি বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।
• হাতিরঝিল প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। এতে রাজধানীর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
• সায়েদাবাদে দৈনিক সাড়ে ২২ কোটি লিটার পানি সরবরাহের জন্য দ্বিতীয় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট চালু করা হয়েছে।
• এর দ্বিগুণ ক্ষমতাসম্পন্ন আরেকটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট খিলক্ষেতে নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
• বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, পুংলি ও ধলেশ্বরী নদী ড্রেজিং এর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
• মেট্টোরেল স্থাপনের জন্য জাপানের সাথে ইতোমধ্যেই চুক্তি হয়েছে।
প্রিয় দেশবাসী,
• বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠুভাবে করতে পারে নাই। তারা ঢাকার মিরপুর ও মাগুরার উপনির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও সন্ত্রাস করে।
• ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারচুপি করে এবং জাতির পিতার হত্যাকারী খুনী কর্নেল রশিদ ও মেজর হুদাকে সংসদ সদস্য করে আনে।
• সেই সংসদেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন পাশ করে। জনগণ সেই নির্বাচন মেনে নেয় নাই।
• গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯৬ সালের ৩০ শে মার্চ বিএনপি সরকারের পতন ঘটে।
• ২০০৬ সালেও বিএনপি একই ঘটনা ঘটায়।
• ১ কোটি ২৩ লক্ষ ভুয়া ভোটারসহ ভোটার তালিকা তৈরী করে।
• বিতর্কিত ব্যক্তিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে।
• নিজ দলীয় রাষ্ট্রপতিকেই প্রধান উপদেষ্টা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে।
• তাদের উদ্দেশ্য ছিল ভোট কারচুপি করে পুনরায় ক্ষমতায় যাওয়া।
• জনগণ বিএনপি’র এসব অপচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। আন্দোলন গড়ে তোলে ও প্রতিবাদ করে।
• ১০ জন করে উপদেষ্টা নিয়োগ হতে থাকে। আর নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়ে অধিকাংশ উপদেষ্টা দফায় দফায় পদত্যাগ করে।
• এরই এক পর্যায়ে তত্কালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীন আহম্মেদ জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেন।
• ফলে ১/১১’র সৃষ্টি হয়।
• সমগ্র দেশে সেনা মোতায়েন করা হয়।
• মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়।
• শিক্ষক, ছাত্র, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার, হয়রানি করা শুরু হয়।
• গ্রামে গ্রামে হাটবাজার ভেঙ্গে ফেলা, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি সাধন করাসহ নানা ঘটনায় মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস ওঠে।
• তিন মাসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রায় দুই বছর ক্ষমতা আঁকড়ে রাখে এবং চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকার প্রয়াস চালায়।
• মাইনাস টু ফর্মুলা বাসত্মবায়ন করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু হয়।
• গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে নির্যাতন চলতে থাকে।
• বাংলাদেশের মানুষ দেশে ও বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় তোলে।
• জাতীয় ও আন্ত্মর্জাতিক চাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এক পর্যায়ে নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়।
• নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
• একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় সেদিন যারা মাইনাস টু ফর্মুলা প্রবর্তন করতে চেয়েছিল তারা এখনও সক্রিয়।
• মাঝে মাঝেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাচ্ছে।
• পাশাপাশি দেশবাসীকে আরেকটি বিষয়ে বিশেষভাবে নজর দিতে আমি অনুরোধ করব। তাহলো বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কখনও শান্ত্মিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পরিবর্তন হয় নাই।
• কেবলমাত্র ২০০১ সালের ১৫ ই জুলাই আওয়ামী লীগ সরকার পাঁচ বছর পূর্ণ করে শান্ত্মিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হসত্মান্ত্মর করে।
• আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে।
• চার বছরে নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় সংসদের ১৪টি উপ-নির্বাচনসহ সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের মোট ৫ হাজার ৫০৯টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
• এইসব নির্বাচনে ১৪ জন সংসদ সদস্য, ৪ হাজার ৪২১টি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ ৫৭ হাজার ৩৭৩ জন জনপ্রতিনিধি, ৪৮১টি উপজেলা পরিষদে ১ হাজার ৪৪৩ জন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, ২৮২টি পৌরসভায় ৩ হাজার ৭৮২ জন পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ৪টি সিটি কর্পোরেশনে ৪ জন মেয়র ও ১৭১ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।
• স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন সত্মরের উপনির্বাচনে আরো ৩০৭ জন জনপ্রতিনিধি অর্থাত্ সর্বমোট ৬৩ হাজার ১৯৪ জন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন।
• প্রতিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। কোথাও কোনো অভিযোগ উঠেনি।
• স্থানীয় সরকার ও উপনির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীও পরাজিত হয়েছে। কিন্তু সরকার কোনো রকম হসত্মক্ষেপ করেনি। আমরা জনগণের রায় মাথা পেতে নিয়েছি।
• অতীতে কোন সরকারের আমলেই এ ধরনের শান্ত্মিপূর্ণ নির্বাচন হয় নাই।
• জনগণের সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষার জন্য জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য।
• এভাবেই সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব।
• এর ফলে জনগণ সরকারের কাছ থেকে যথাযথ সেবা পাবে। নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হবে।
• নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা হয়েছে।
• বাংলাদেশে এই প্রথম মহামান্য রাষ্ট্রপতি কোন বাধ্যবাধকতা না থাকা সত্ত্বেও সকল দলের সাথে আলোচনা করে তাদের মতামত নিয়ে একটি সার্চ কমিটি গঠন করেন।
• তিনি এই সার্চ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করেন।
• নির্বাচন কমিশনের আর্থিক স্বায়ত্ত্বশাসন নিশ্চিত করা হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী লোকবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলায় নির্বাচন অফিস চালু হয়েছে।
• নির্বাচনের সময় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলি নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যসত্ম থাকে।
• নির্বাচন কমিশনের ইচ্ছানুযায়ী নিয়োগ ও বদলী হয়ে থাকে।
• নির্বাচন কমিশনে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।
• যে দল জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষার আন্দোলন করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়, জীবন দেয়, তাদের হাতে জনগণের ভোটের অধিকার সব সময় নিশ্চিত থাকবে।
• জনগণ যাকে খুশী তাকে নির্বাচিত করে ক্ষমতায় বসাবে।
• ভবিষ্যতে জনগণের সাংবিধানিক অধিকার যেন কোন মহল কেড়ে নিতে না পারে সে বিষয়ে দেশবাসী আপনাদেরকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
সচেতন দেশবাসী,
• জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা দেশকে স্বাধীন করেছি।
• তিনি দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যেও কাজ শুরু করেছিলেন।
• স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তাঁকে মাঝ পথে সত্মব্ধ করে দেয়।
• আমরা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে রূপকল্প ২০২১ বাসত্মবায়ন করছি।
• বিশ্ব এখন বলছে, বর্তমান সরকারের ব্যাপক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিচ্ছে।
• এই কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে আমরা ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সমৃদ্ধ, ন্যায়ভিত্তিক, অসামপ্রদায়িক, শান্ত্মিপূর্ণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। ইনশাল্লাহ।
• আমাদের এ লক্ষ্য অর্জনে সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা প্রয়োজন।
প্রিয় দেশবাসী,
• আপনারাই পারেন আমাদেরকে সেই সুযোগ দিতে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির যে উজ্জ্বল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে তা অব্যাহত রাখতে।
• বিরোধীদলের প্রতি আমার আহ্বান, সংঘাতের পথ পরিহার করুন। যুদ্ধপরাধীদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করবেন না। তাহলে জাতি আপনাদের কখনই ক্ষমা করবে না।
• আসুন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার যে অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, সকলে মিলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তা বাসত্মবে রূপ দেই।
• জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলি।
প্রিয় দেশবাসী,
• আসুন, সকলে মিলে আমাদের ভবিষ্যত্ প্রজন্মের জন্য একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
• আপনাদের সবার মঙ্গল কামনা করছি এবং আপনারাও আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
খোদা হাফেজ।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।