৩২তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। মোট ২ হাজার ৫৯২ জন প্রার্থী কৃতকার্য হয়েছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৮০ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্যে সাময়িক সুপারিশ করেছে কমিশন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আ ই ম নেছার উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশেষ এই বিসিএসের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনি, নারী ও উপজাতীয় কোটায় লোক নিয়োগ করা হয়েছে।
সুপারিশকৃত ১ হাজার ৬৮০ জন প্রার্থীর মধ্যে পুরুষ ৭৫৭ জন এবং মহিলা ৯২৩ জন।
এর আগে ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) ৩২তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষার প্রজ্ঞাপন জারি করে।
৩২তম বিসিএসে ১৪টি কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারে মোট এক হাজার ৪৮৯ জন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছিল। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এক হাজার ১৫৮ জন, নারী কোটায় ১৩০ জন এবং উপজাতীয় কোটায় ২০১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বিশেষ এ বিসিএসের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এর মধ্যে সহকারী সার্জন পদে ৩৩১ জন ও ডেন্টালে নিয়োগ দেওয়া হবে ৪৪ জনকে।
৩২ তম বিসিএস পরীক্ষায় মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ২৬ হাজার ৪৩৭ জন। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর মোট ২ হাজার ৭৮৮ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হয়। ২০১২ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষায় ২ হাজার ৬৭৫ জন প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন। লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষায় মোট ২ হাজার ৫৯২ জন প্রার্থী কৃতকার্য হন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষায় কৃতকার্য হলেও কোন কোন ক্যাডারে শূন্য পদের চেয়ে কৃতকার্য প্রার্থী সংখ্যা কম হওয়ায় সে সকল ক্যাডারের সকল পদ পূরণ করা সম্ভব হয়নি। অপরদিকে যে সকল ক্যাডারে শূণ্য পদের চেয়ে কৃতকার্য প্রার্থী সংখ্যা বেশী সে সকল ক্যাডারের সকল কৃতকার্য প্রার্থীকে পদ স্বল্পতার কারণে সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি।
পদের স্বল্পতার কারণে উত্তীর্ণ যেসব প্রার্থীকে বিসিএস ক্যাডারে সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি, তাদেরকে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের ‘নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা-২০১০’ অনুযায়ী ১ম শ্রেণীর নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের লক্ষ্যে প্রচেষ্টা করা হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।