নন এমপিও স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার দাবিতে আজ শিক্ষাভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট। সকাল ১১টায় শিক্ষাভবন ঘেরাও করা হবে। একই দাবিতে গতকাল বিক্ষোভ মিছিল পালন করে সংগঠনটি। বিক্ষোভ শেষে তারা শিক্ষাভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেয়। নন-এমপিভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষকরা। সেখানে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান ধর্মঘট শেষে বেলা সোয়া ১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কদম ফোয়ারা প্রদক্ষিণ করে পল্টন মোড় এসে মিছিলটি থেমে যায়। এ সময় হাজার হাজার শিক্ষক রাস্তায় বসে পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি জানান। এতে শিক্ষকদের পল্টন মোড় অবরোধে সচিবালয়ে পশ্চিম গেইট, পল্টন মোড় হয়ে হাইকোর্ট মোড়, পল্টন থেকে গুলিস্তান, মতিঝিল ও কাকরাইলসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ যাত্রীদের। পুনরায় তারা আবার প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়। অবস্থান কর্মসূচি থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও শপথ করেন শিক্ষকরা। সেখান থেকেই নতুন আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হয়। অবস্থান ধর্মঘটে সংগঠনের সভাপতি এম এশারত আলীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার কুন্ডু ও বিভিন্ন জেলার শিক্ষক নেতারা। অধ্যক্ষ মো. এশারত আলী জানান, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রায় ৭ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওর অপেক্ষায় আছে। এসব প্রতিষ্ঠানে এক লাখের মতো শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওর দাবিতে দীর্ঘদিন থেকেই আন্দোলন করছিলেন প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত শিক্ষকরা। গত মে মাসে এ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষকদের বৈঠকও হয়। পরে ৫ই সেপ্টেম্বর শিক্ষাসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সঙ্গেও বৈঠক করেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। এরপর ১লা সেপ্টেম্বর এসব শিক্ষকদের আন্দোলন কর্মসূচিতে লাঠিপেটা করে পুলিশ। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শিক্ষকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাসের পর কর্মসূচি স্থগিত করেন শিক্ষকরা। যদিও ওই বৈঠকটিও স্থগিত করা হয়। গত ৩০শে ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে দাবি মেনে নিতে সরকারকে ৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন শিক্ষকরা। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে ৭ই জানুয়ারি থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন তারা।