পরিকল্পিত রাজনৈতিক সহিংসতা ঘটিয়ে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপট সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জামায়াত-শিবির। সোমবার বিকালে তোপখানা রোডে সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জামায়াত শিবির যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে চায়। এ লক্ষ্যে তারা সারাদেশে হরতালের নামে তাণ্ডব চালাচ্ছে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি অশুভ ইঙ্গিত বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। সাম্যবাদী দলের রাজনৈতিক সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে দলের ভাবমূর্তির নষ্ট করার জন্য কোনো কুচক্রী মহলের ইঙ্গিতে ষড়যন্ত্র চলছে। প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির উত্থানকে রুখে দেওয়াই এ ষড়যন্ত্রের মূল লক্ষ্য।
এ বিষয়ে তিনি তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
এতে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল) এর কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরোর সদস্য কমরেড আবু হামেদ শাহাবুদ্দিন, কমরেড ধীরেন সিংহ, কমরেড লুৎফর রহমান, কমরেড প্রদ্যুৎ কুমার ফণি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বাবুল বিশ্বাস, কবি সুনীল শীল, কমরেড মহিম উদ্দিন, এম. দেলোয়ার হোসেন, তরিকুল ইসলাম, এফ. এম. ইকবাল, কমরেড ফারুক বক্তব্য রাখেন।
সভায় দেশের চলমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় সাংবিধানিকভাবে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই বলে অভিমত প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া মৌলবাদী অপশক্তির তাণ্ডবের বিরুদ্ধে সাম্যবাদী দলকে সক্রিয় করার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে ১৪ দলীয় জোটের কার্যক্রম শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে আগামী ১৩ জানুয়ারি সাম্যবাদী দলের রাজশাহী বিভাগীয় সম্মেলন এবং ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্মেলন সফলভাবে আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।