বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের আচরণ বদলানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপারাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রলীগের ৬৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্র্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, “সব উন্নয়ন করব আমরা, আর তোমাদের (ছাত্রলীগ) আচরণ হতে হবে এনালগ। কারণ, এনালগ আচরণের মধ্যে সৌজন্যবোধ ও মূল্যবোধ রয়েছে।”
ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি বলেন, গুটিকয় ‘হাইব্রিড ও ফর্মালিন’ ছাত্রলীগে ঢুকে পড়েছে। যারা সরকার ও সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।
এই গুটিকয় ‘ছাত্রলীগ নামধারীদের’ সংগঠন থকে বের করে দিয়ে এর কর্মকাণ্ডের গুণগত পরিবর্তন আনারও আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
গণমাধ্যমে ছাত্রলীগ সম্পর্কে ‘নেতিবাচক’ প্রচারণা হয়- এমন অভিযোগের জবাবে তিনি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, নেতিবাচক প্রচারণার জবাবে ইতিবাচক আচরণ করতে হবে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত এই ছাত্র সংগঠনের ডিজিটাল পোস্টার-ব্যানারের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এই ডিজিটাল চেহারা যত বেশি বাড়ছে সৌজন্যবোধ ততোই কমছে।ডিজিটাল পোস্টারে সৌজন্য দেখানোর দরকার নেই, আচারণে সৌজন্যবোধ ফিরিয়ে আনতে হবে।”
তিনি রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করে বলেন, দেশের রাজনীতিতে আক্রোশের বিষ ‘ফরমালিনের’ মতো ছড়িয়ে পড়েছে। রাজনীতিতে সৌজন্যবোধ উঠে গেছে, এখন প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে।
মহাজোট সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকা- তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, আগামী ১০ মাসের মধ্যে সরকারের মধ্যমেয়াদী অনেক কর্মসূচির বাস্তবায়ন হবে। তখন দেশের মানুষ সুখ পাবে, আবারো আওয়ামী লীগকেই ক্ষমতায় আনবে বলে তিনি মনে করেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সংসদ সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু, আব্দুল মান্নান, শাহ আলম, লিয়াকত শিকদার, মাহামুদ হাসান রিপনসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
পরে অপারেজয় বাংলার পাদদেশ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা হয়।
প্রতিষ্ঠালগ্নে নাইমউদ্দিন আহম্মেদকে আহ্বায়ক করে ১৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।