প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ আধুনিক গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তিনি সকল শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী আজ ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত এক বাণীতে এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক।
’৫২-র ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তি সনদ ৬ দফা, পরবর্তীকালে ১১ দফা ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি মহান স্বাধীনতা।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে ঔপনিবেশিক পাকিস্তানী শাসন, শোষণ ও বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করেন।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণার ফলে স্বাধিকার আন্দোলনের গতি হয় তীব্রতর। পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী আন্দোলনকে নস্যাৎ করার হীন উদ্দেশ্যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে বঙ্গবন্ধুকে বন্দি করে। এ মামলার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ছাত্র-শ্রমিক-কৃষক-জনতা দুর্বার ও স্বতঃস্ফুর্ত গণআন্দোলন গড়ে তোলে।
গণআন্দোলনে নিহত শহীদ মতিউরসহ পরবর্তীতে মুক্তি সংগ্রামে নিহত সকল শহীদদের অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সামরিক শাসন উৎখাতের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের এ দিনে সংগ্রামী জনতা শাসকগোষ্ঠীর দমন-পীড়ন ও সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলি বর্ষণে নিহত হন নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান।
তিনি বলেন, জনতার রুদ্ররোষ এবং গণঅভ্যুত্থানের জোয়ারে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ সকলকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পতন ঘটে আইয়ুব খানের স্বৈরতন্ত্রের। অপশাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রামে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।