রাজধানীর দক্ষিণখানে মেধাবী চিকিৎসক ডা. ইভা, টাঙ্গাইলের স্কুলছাত্রী আর দিল্লির বাসে মেডিকেল ছাত্রী কোনো ঘটনাই বেশি দূরত্বের নয়। সমাজে পচন ধরার এই ঘটনায় ধিক্কারের শেষ নেই। ধিক্কার থেকে এখন বাড়ছে দ্রোহ।
এসব অপকর্মের প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে সিলেটে ‘মানবিক দ্রোহ’ গড়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
প্রতিবাদী কণ্ঠে, দ্রোহের কবিতায় আর সঙ্গীতে প্রতিবাদী মূর্ছনায় শত শত তরুণ-তরুণী নেমেছে রাস্তায়। সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদমিনারের সামনে বিকেলে “প্রান্তিক পর্ষদ” নামে একটি সংগঠনের ডাকে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচি চলাচালে মানববন্ধনে সিলেটের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্নস্থানে সংঘটিত এমন সব ঘটনার মূল হোতাদের শাস্তির দাবিতে জোর আওয়াজ তুলে ধরেন।
তারা বলে, ‘‘পাশবিতার জন্য বিশ্বে আজ শান্তি বিপন্ন। তাই, মানুষের মধ্যে জেগেছে দ্রোহ।’’
তারা আরও বলেন, ‘‘প্রতিবেশী দেশে ধর্ষণের ঘটনায় আমরা প্রতিবাদী হয়ে উঠলেও নিজ দেশের মেয়েটির ধর্ষণের ব্যথা মুখ বুঝে সহ্য করছি।’’
নাট্য সংগঠন ‘নগর নাট’-এর সহযোগিতায় মানবিক দ্রোহ কর্মসূচিতে গান, কবিতা, গণসঙ্গীতসহ নানা জনসচেতনতামূলক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রান্তিক পর্ষদ সিলেট-এর উদ্যোগে এবং নগর নট, সিলেটের সহযোগিতায় মানবিক দ্রোহে সংহতি প্রকাশ করেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহ ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
এছাড়া ব্লগার্স অব সিলেট-এর ব্যানারে একদল তরুণ-তরুণী এতে সংহতি প্রকাশ করেন।
সাংবাদিক দেবাশীষ দেবুর সঞ্চলনায় এতে বক্তব্য রাখেন, নজমুল আলবাব অপু, সুপ্রিয় দেব শান্ত, রবি আহমদ, উজ্জল রায়, সিরাজ উদ্দিন সিরাজ, কানিজ, শিবুল, রাজীব রুমেল, জামান তপাদার, বিনয় ভদ্র প্রমুখ।
“মানবিক দ্রোহে” অংশ নেওয়া একজন শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, “আমরা চাই না, ধর্ষণের ঘটনার বিচার নীরবে-নিভৃতে কাঁদুক।”