ফাউন্ডেশন ও ওয়াকফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই মানুষের কল্যাণে ফাউন্ডেশন করা উচিত। মঙ্গলবার রাজধানীর তোপখানা রোডের বিজিআইসি ভবনে বীমা শিল্পের প্রবাদ পুরুষ এমএ সামাদ- এর ৯০তম জন্ম বার্ষিকী ও ‘সামাদ- ফওজিয়া ফাউন্ডেশনের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কথা বলেন। এমএ সামাদের কন্যা ও সামাদ-ফওজিয়া ফাউন্ডেশনের প্রধান সাবরিনা সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ১৮০৭ সালে হাজী মুহম্মদ মুহসীন ওয়াকফ্ ফাউন্ডেশন তৈরি করে সামাজিক কল্যাণমূলক ফাউন্ডেশনের সূচনা করেন। পরে ১৮৮৩- ৮৪ সালে বেগম ফয়জুন্নেসার মাধ্যমে তা ব্যাপক প্রসার লাভ করে। কারণ তিনি শিক্ষার প্রসার ও মেয়েদের জন্য অনেক কিছুই করেছেন। আজকের সামাদ-ফওজিয়া ফাউন্ডেশনও তারই প্রচেষ্টা। অর্থমন্ত্রী বলেন, শুধু বীমা শিল্পের প্রসারের জন্য এমএ সামাদ বাংলাদেশে পরিচিত নন। একাধারে তিনি ছিলেন, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিমনা মানুষ। প্রাথমিক অবস্থায় তিনি রেডিও দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তার বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতা ও প্রচেষ্টায় বীমাকে একটি সম্মানজনক ব্যবসা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হক বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ে সরকারের একার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়। আর এজন্য বেসরকারি ফাউন্ডেশন ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি এমএ সামাদের বর্ণাঢ্য জীবনের প্রশংসা করে সামাদ-ফওজিয়া ফাউন্ডেশনের সাফল্য কামনা করেন। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় পর্বে সামাদ-ফওজিয়া ফাউন্ডেশন, ফওজিয়া সামাদ লেডিস ক্লাব ও সামাদ অ্যান্ড এসোসিয়েটস এর উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সামাদ- ফওজিয়া ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাবরিনা সামাদ, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির এ চৌধুরী, শিক্ষাবিদ আসমা আব্বাসী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য গোলাম মওলা রনি, সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জয়নাল আবেদিন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, সামাদ ফওজিয়া ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক টি এইচ এম জাহাঙ্গীর।