টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার, গ্রেপ্তার ৫

টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার, গ্রেপ্তার ৫

গণধর্ষণের শিকার টাঙ্গাইলের এক স্কুলছাত্রী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষণ ও সহায়তার অভিযোগে পুলিশ মেয়েটির বান্ধবীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল তাদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ। পরিবার ও পুলিশ জানায়, ধর্ষিতা টাঙ্গাইল সদর উপজেলার তারাবাড়ি গ্রামের দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান আগ বিক্রমহাটি মাহমুদুল হাসান উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ৬ই ডিসেম্বর ইভা আক্তার নামে তার চেয়ে বয়সে বড় কথিত এক বান্ধবী তাকে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা বলে মধুপুরে নিয়ে যায়। সেখানে পাহাড়ি এলাকার বোকারবাইদ নামক স্থানে এস এম নুরুজ্জামানের বাড়িতে নিয়ে ওঠায়। পরে তিন দিন মেয়েটিকে ওই বাড়িতে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাদের গ্রামের রেললাইনের পাশে ফেলে রেখে যায়। লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েটির পরিবার ঘটনা চেপে রাখে। তারা মেয়েটিকে ১২ই ডিসেম্বর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে ঝগড়া-বিবাদে আহত হয়েছে বলে চিকিৎসা করায়। পরে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর মেয়েটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়। তাকে আবার ২২শে ডিসেম্বর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন। গত রোববার তারা চিকিৎসকদের কাছে ঘটনাটি খুলে বলেন। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক নূর মোহাম্মদ জানান, গণধর্ষণের বিষয়টি জানার পর তার চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের প্রধান গাইনি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট রাজিয়া খাতুন বলেন, মেয়েটি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে। গত সোমবার রাত ১১টার দিকে তাকে ঢাকায় ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলা সমন্বয়কারী এডভোকেট আতাউর রহমান খান আজাদ বলেন, তারা বিষয়টি জানার পর রোববার টাঙ্গাইল পুলিশ ও প্রশাসনকে অবহিত করেন। ওই রাতেই গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মেয়েটির বান্ধবী বীথি আক্তার ইভা, শাজাহান আলী, এস এম নুরুজ্জামান, হারুন অর রশিদ ও মনিরুজ্জামান মনিকে গ্রেফতার করেছে। টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর আকন্দ জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের আসামি করে ধর্ষিতার ভাই বাদী হয়ে সোমবার মধুপুর থানায় মামলা করেছেন। গতকাল আসামিদের টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। টাঙ্গাইল আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আবদুল বাতেন বলেন, রিমান্ড শুনানি আজ অনুষ্ঠিত হবে।

অন্যান্য জেলা সংবাদ শীর্ষ খবর