খালেদা নীরব বিপ্লবের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করতে চেয়েছিলেন: কামরুল

খালেদা নীরব বিপ্লবের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করতে চেয়েছিলেন: কামরুল

বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া নীরব বিপ্লবের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে ধর্মান্ধদের দিয়ে ষড়যন্ত্র করতে চেয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ভাসানী আয়োজিত ৬৯’ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আসাদ স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

কামরুল বলেন, ‘জামায়াত নেতা গোলাম আযমকে গ্রেপ্তারের পর তারা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। সে সময় তারা নীরব থেকেছেন। এই নীরবতা এবং খালেদা জিয়ার চট্টগ্রামের বক্তব্য প্রমাণ করে তারা নীরব বিপ্লবের মাধ্যামে ষড়যন্ত্র করতে চেয়েছিলেন।

সেনা সদরের বক্তব্যও তারই প্রমাণ উল্লেখ করে জাতির উদ্দেশ্যে কামরুল বলেন, ‘আপনারা এখন বুঝতে পারছেন চট্টগ্রামের জনসভায় খালেদা জিয়ার বক্তব্য কী ছিল।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পর বিডিআরের লোমহর্ষক ঘটনা থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ফাঁসির রায় তারা মানতে পারেনি। ৭১’র ঘাতকদের বিচার তারা কোনো দিন মানতে পারেবে না। বাংলাদেশে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। কিন্তু শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। তারা গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় আসতে পারবে না জেনে দেশকে যেভাবে সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত করতে চেয়েছিল, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল, তা আর সম্ভব নয়।

কামরুল বলেন, তারা যতোই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, বাংলাদেশকে ধর্মান্ধদের অভয়ারণ্যে পরিণত করতে দেওয়া হবে না। এজন্য তিনি সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

শহীদ আসাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কামরুল বলেন, তার আত্মদানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা এসেছিল। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী চক্র নতুন প্রজন্মকে সে ইতিহাস জানতে দেয়নি। স্বাধীন দেশের মানুষ আসাদের আত্মদানের কথা ভুলবে না।

ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ ভাসানীর সভাপতিত্বে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেত্রী সাদেকা সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল আলম দুদু, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এমএ জলিল, কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, শহীদ আসাদের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে রাজনৈতিক চর্চা করলে স্বাধীনতার প্রকৃত ফল পাওয়া যাবে।

১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ূব খান সরকারের জারি করা ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে ১১ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করলে পাকিস্তানি সরকারের পুলিশের গুলিতে শহীদ হন ছাত্র ইউনিয়নের নেতা আসাদ।

দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন।

রাজনীতি শীর্ষ খবর