কাফনের কাপড় পাঠিয়ে বিচারকদের হত্যার হুমকির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, এ ধরনের হুমকি তাকেও দেয়া হচ্ছে।
এসব হুমকিতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করেন তিনি।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমসহ কয়েকজন বিচারককে সম্প্রতি খামের মধ্যে কাফনের কাপড়ের টুকরো ও চিঠি পাঠিয়ে এবং এসএমএসে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
চিঠিতে বিচারকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়, “তোদের সময় শেষ। তোরা নিজেদের কি ভাবিস? তোদের মিথ্যা বিচার আমরা মানি না।”
“তোরা পুলিশের পর আমাদের হাই টার্গেট। তোদের শিক্ষা দিবার জন্য আমাদের লোকজন মাঠে কাজ করছে। আর একজন নেতাকর্মীকে তোরা হয়রানি করলে তোদের একটা কিছু হারাবি। আমাদের কাজ শেষ হবেই হবে… ইনশাল্লাহ।”
এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের জামিন না দিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ এনে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমসহ ২৬ বিচারককে মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে রগকাটার হুমকি দেয়া হয়।
শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা বিচারকদের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে কাজ করছি এবং হুমকিদাতাদের ধরার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।”
বাংলা একাডেমীতে ফেলোশিপ গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমানসহ ১০ জনকে এবার সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয় বাংলা একাডেমী।
দুর্নীতি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদন ‘মানতে বাধ্য নন’ বলেও মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে এ ধরনের গবেষণাধর্মী প্রতিবেদনকে স্বাগত জানাই। তবে প্রতিবেদনে যা বলা হবে তা মানতে বাধ্য নই।
টিআইবির ওই প্রতিবেদনে ২০১১-১২ অর্থ বছরে বাংলাদেশের সেবাখাতগুলোর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুর্নীতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “অপরাধ দমনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগের চেয়ে অনেক বেশি সাফল্য অর্জন করছে। নিত্য নতুন অপরাধ দমনে তারা আরও বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখছে।”