সেনাবাহিনীকে ওয়ার্কার্স পার্টির অভিনন্দন

সেনাবাহিনীকে ওয়ার্কার্স পার্টির অভিনন্দন

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো শুক্রবার সংবাদপত্রে দেওয়া এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামীকে ব্যবহার করে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ধ্বংস করে দেওয়ার মহলবিশেষের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেয়ায় সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছে।

পলিটব্যুরো পাশাপাশি এ ধরণের অপচেষ্টা প্রতিরোধ ও জনগণের অধিকার রক্ষায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত রাখার জন্য সকল অসাম্প্রদায়িক বাম প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়- দেশের সাম্প্রতিক অবস্থা পরিদৃষ্টে এ ধরণের ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা বিভিন্নমহল থেকে কিছুদিন ধরেই ব্যক্ত করা হয়েছিল। এই ঘটনাবলীর সমসাময়িককালে ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির অঘোষিত কর্মসূচিতে সৃষ্ট ঘটনা, জামাত-শিবিরের তা-ব এবং দেশের প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উস্কানিমূলক বক্তৃতা-বিবৃতি এ ধরণের ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষাপট রচনা করা হচ্ছিল বলে এখন স্পষ্টই প্রতীয়মান হয়।

ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়- এ দেশের মানুষ দেড় দশকব্যাপী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে হত্যা-ক্যুর ষড়যন্ত্ররকে পরাভূত করে গণতন্ত্রের যে অভিযাত্রা শুরু হয়েছিল তাকে বিভিন্ন সময় বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা হয়েছে।

সর্বশেষ ১/১১-র দুই বছরের ঘটনাবলীর সেই অপচেষ্টা আরেকটি প্রমাণ। এদেশের মানুষ তাদের প্রতিরোধের চেতনায় ১-১১’র ঐ ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে গণতন্ত্রের পথে এগিয়েছে।

এখন যখন দীর্ঘ ৩৫ বছর পর যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হয়েছে তখন এই চক্রান্তের ঘটনাবলী এবং তার সাথে ধর্মান্ধ সংগঠনের সম্পৃক্ততা এর পিছনের মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক-জঙ্গিবাদী রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ্যকেই স্পষ্ট করে দেয়।

ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে এ ধরনের চক্রান্তের সাথে জড়িতদের মুখোশ উন্মোচন করে তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবার আহ্বান জানানো হয়।

রাজনীতি