‘বছরের প্রথম দিনে স্কুলে স্কুলে বই উৎসব’

‘বছরের প্রথম দিনে স্কুলে স্কুলে বই উৎসব’

আগামী ১ জানুয়ারি দেশের সব প্রাথমিক স্কুল; ইবতেদায়ী ও মাধ্যমিক মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ।

বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, এ বছর তিন কোটি ৬৮ লাখ ৮৬ হাজার ১৭২ শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ১৭ কোটি বই বিতরণ করা হবে। বছরের প্রথম দিন স্কুলে স্কুলে হবে চার রঙা এই পাঠ্যবইয়ের উৎসব।

এর আগের দিন ৩১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেবেন। আর ১ জানুয়ারি সকাল ১১টায় ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করা হবে বলে মন্ত্রী জানান।

তিনি বলেন, এবার প্রাথমিকে ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৬২ হাজার ৭১৪টি, ইবতেদায়ীতে এক কোটি ৭২ লাখ ১ হাজার ৪০টি, মাধ্যমিকে ১১ কোটি ৪৮ লাখ ২১ হাজার ৩৩১টি, মাদ্রাসায় দুই কোটি ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৫৪০টি এবং কারিগরিতে ১৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৮১টি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।

“১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা খালি হাতে স্কুলে যাবে এবং নতুন বই হাতে বাড়ি ফিরবে। এছাড়া বছরের প্রথম দিনই সরকারের ই বইয়ের ওয়েবসাইট www.ebook.gov.bd এবং এনসিটিবির ওয়েবসাইট www.nctb.gov.bd থেকে সব বই বিনামূল্যে ডাইনলোড করা যাবে।”

বিনামূল্যে বিতরণের বই কোথাও বিক্রি হলে তা না কিনতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান নাহিদ।

তিনি বলেন, “আগে টাকা দিয়েও বই পাওয়া যেত না। এখন বিনামুল্যে বই দেয়ার ফলে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া কমেছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে। ১ জানুয়ারি বই পাওয়া যাবে কি না- তা নিয়ে যেন কারো সন্দেহ না থাকে।”

১০ হাজার ৫০৭টি ট্রাকে করে সারাদেশে বই পাঠানো হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকার নির্ধারিত পাঠ্যসূচির বাইরে অন্য বই কিনতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানান।

তিনি বলেন, “কোনো স্কুল অতিরিক্তি বই কিনতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করছে কি না- মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তার তালিকা করা হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

শিক্ষা সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে জানান, মাধ্যমিক পর্যায়ে তিনটি বই বেড়েছে। নতুন পাঠ্যক্রমের বইয়ে সৃজনশীল পদ্ধতির প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে।

সোমবার পর্যন্ত ৯৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ বই উপজেলায় পৌঁছে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাকি বইগু এ মাসের মধ্যেই পাঠানো হবে।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী এ বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ১১১টি বই প্রণয়ন করা হয়েছে। এক হাজার ৪০১ জন শিক্ষক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক এসব বই প্রণয়নের সঙ্গে ছিলেন।

সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই সরবারহ করছে।

অন্যদের মধ্যে এসসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোস্তফা কামাল উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

অন্যান্য অর্থ বাণিজ্য জেলা সংবাদ বাংলাদেশ শীর্ষ খবর