বিশ্বব্যাপী ক্রিসমাস (বড়দিন) পালন করছে খ্রিস্টানরা। জেরুজালেমের বেথেলহামে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিনকে স্মরণ করতে দিবসটি পালন করছেন খ্রিস্টানরা। এই বিশেষ দিবসে জেরুজালেমের রোমান ক্যাথলিক চার্চ প্রধান ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
ল্যাটিন প্যাট্রিয়াক ফৌয়াদ তওয়াল বলেন, “আমাদের প্রভু যিশুর জন্মদিন ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্মের জন্য এই ক্রিসমাসের উদযাপন।”
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনকে উদ্দেশ্য করে নাটিভিটির গির্জার সমাবেশে তিনি বলেন, “এই পবিত্র স্থান থেকে আমি রাজনীতিবিদ ও সদিচ্ছাবান মানুষদের শান্তির জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে কাজ করা এবং সমঝোতায় আসার আহ্বান জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “ (রাষ্ট্র অর্জনের) পথ দীর্ঘ এবং যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।”
সমাবেশে ফিলিস্তিনের মাহমুদ আব্বাস ও জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের জুদাহ উপস্থিত ছিলেন।
আরব অঞ্চলের জেরুজালেমের ওল্ড সিটি থেকে পশ্চিম তীর শহরে একটি শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন এই ল্যাটিন ধর্মযাজক । ইসরায়েলের দেওয়া বেড়া ও চৌকি অতিক্রম করে ওই শোভাযাত্রাটি।
মান্জার স্কয়ারের গির্জায় আগত হাজার হাজার পর্যটক, তীর্থযাত্রী ও যাজকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
গত মাসের ইসরায়েল ও গাজার সংঘর্ষ সব আরব ও ইহুদি পরিবারকে স্পর্শ করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নাটিভিটি গির্জার পাশের সেন্ট ক্যাথেরিন গির্জায় বলেন, “এই পবিত্রভূমিতে ন্যায়বিচার ও শান্তিই এই অঞ্চলে ও সারা বিশ্বে ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারে।”
মিশর সিরিয়ার জনগণের জন্যও তিনি শান্তি কামনা করেন। অসহিংসতা, ন্যায় বিচার ও শান্তির জন্য যারা কাজ করছেন তাদের প্রশংসা করেন ফৌয়াদ তওয়াল।
বেথেলহাম পরিদর্শনের সময় আব্বাস বলেন, “যিশুর জন্মস্থানে শান্তি বিরাজ করুক এবং সবাই সুখ ও শান্তিতে থাকুক।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ক্রিসমাস উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়েছেন। নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি ও শান্তির বছরের কামনা করেছেন নেতানিয়াহু।
গত নভেম্বরে ফিলিস্তিনকে অসদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা দেয় জাতিসংঘ। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র তীব্রভাবে জাতিসংঘের এ পদক্ষেপের সমালোচনা করে।
নাটিভিটি গির্জা ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ শাসিত পশ্চিম তীরে অবস্থিত। গত জুন মাসে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত হয় গির্জাটি। খ্রিস্টানদের বিশ্বাস, বেথেলহামের নাটিভিটি চার্চে যিশু জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এক হাজার ৭শ বছর পূর্ব থেকে ওই স্থানে দিবসটি পালিত হচ্ছে। ক্রিসমাস উপলক্ষে মনোমুগ্ধকরভাবে সাজানো হয়েছে মান্জার স্কয়ার।