বীমা ব্যবসার উন্নয়নের লক্ষ্যে গ্রুপ বীমার পরিধি বাড়ানো, প্রবাসী শ্রমিকদের বীমার আওতায় আনাসহ সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাবনা পেশ করেছে বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স অ্যসোসিয়েশন(বিআইএ)।
বীমা কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তাদের এ সংগঠনটির নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা সোমবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
গত ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত অ্যসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় নবনির্বাচিত পরিচালনা পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণ করে। এই পরিষদ আগামী ২০১৩-১৪ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবে।
রাজধানীর মতিঝিলের চেম্বার ভবনে বিআইএ’র সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন ।
তাদের প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে- কৃষি বীমা চালু করা, ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাদের বীমার আওতায় আনা, বড় বড় স্থাপনা ও অবকাঠামো বীমার আওতায় আনা, ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেও বীমার অাওতায় আনা এবং বীমা পলিসি গ্রহণকারির জন্য নিরাপত্তা তহবিল গঠন।
কবির হোসেন বলেন, “আমাদের দেশের বীমা খাত এখনও খুব একটা শক্ত অবস্থানে আসতে পারেনি। যতটা অন্যান্য দেশে হয়েছে। তবে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ(আইডিআরএ) গঠনের পর সংস্থাটি বেশকিছু ইতিবাচক উদ্যোগ নেয়ায় এ খাতটিতে উন্নয়ন হচ্ছে।”
বিআইএ সভাপতি অারো বলেন, বর্তমানে তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো মাত্র ২০ জনের গ্রুপ বীমা করে থাকে। এক্ষেত্রে প্রতিটি তৈরি পোশাক শিল্প ইউনিটের ভবন, যন্ত্রপাতি ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব শ্রমিককে বাধ্যতামূলক বীমা পলিসির আওতায় আনার সুপারিশ করেন তিনি।
তিনি মুত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ এক লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন। একইসঙ্গে যারা দেশের বাইরে কাজের উদ্দেশে যাবে তাদেরকে বিদেশে যাওয়ার আগে বাধ্যতামূলক বীমা করার ব্যবস্থা গ্রহণেরও প্রস্তাব দেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিআইএর পরিচালনা পরিষদের সহ-সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাসির এ চৌধুরী, এ কে এম মনিরুল হক, নাসিরউদ্দিন আহমেদ পাভেল, এম এ করিম, মহাসচিব মোললা নূরুল ইসলাম প্রমুখ।