এই তিন কর্মকর্তা হলেন- সোনালী ব্যাংকের ঢাকার জিএম কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক মীর শহিদুর রহমান, প্রধান কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক মো. সফিজউদ্দিন আহম্মেদ ও শেখ আলতাফ হোসেন।
রমনা থানায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা দুই মামলায় এই তিনজনেক সাত দিন করে হেফাজতে চান দুদকের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান ও এনামুল হক চৌধুরী।
সোমবার শুনানি শেষে প্রতিটি মামলায় ৬ দিন করে মোট ১২ দিনের হেফাজতে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন ঢাকার মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমান।
সোনালী ব্যাংকের এই তিন কর্মকর্তাকে রোববার গ্রেপ্তার করেন দুদক কর্মকর্তারা।
সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখার এই ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় এর আগে গত ১৪ অক্টোবর ওই শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক (সাময়িক বরখাস্ত) এ কে এম আজিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার আগে গ্রেপ্তার হন হল-মার্ক গ্রুপের এমডি তানভীর মাহমুদ, তার স্ত্রী জেসমিন ইসলাম ও ভায়রা তুষার আহমেদ।
হল-মার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় মীর শহিদুর রহমানকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আগেই ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) করে। বাকি দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
অনিয়মের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে হল-মার্ক গ্রুপকে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ দেয়া হয়েছিল বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
গত ৪ অক্টোবর এ ঘটনায় হল-মার্ক গ্রুপ ও সোনালী ব্যাংকের ২৭ জনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করে দুদক। এদের মধ্যে ১৮ জনকে ১১টি মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলাগুলোতে সোনালী ব্যাংকের শেরাটন (বর্তমান রূপসী বাংলা) শাখা থেকে তহবিল সরিয়ে নেয়ার অভিযোগ আনা হয়।
মীর শহিদুর, সফিজউদ্দিন ও আলতাফ হোসেন ওই ১১ মামলার প্রতিটিতে আসামি বলে দুদকের জ্যেষ্ঠ উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী জানান।
তিনি বলেন, ঢাকার জিএম কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক মীর শহিদুর রহমান ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখার তত্ত্বাবধানে ছিলেন। তার সময়ই এ অনিয়ম ঘটানো হয়। দায়িত্ব পালনে তার গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
“এছাড়া উপমহাব্যবস্থাপক সফিজউদ্দিন ও আলতাফ প্রধান কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনের সময় হল-মার্কের গ্রুপের এলসি ও আইবিপি (ইনল্যান্ড বিল পার্চেজ) সংক্রান্ত সব তথ্য ধামাচাপা দিতেন। অবৈধ অর্থ গ্রহণ করে তারা এ কাজ করতেন বলে আমাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।”
দুদকের ১১ মামলার আসামিদের তালিকায় আজিজুর রহমান ছাড়াও সোনালী ব্যাংক রূপসী বাংলা শাখার চার কর্মকর্তার নাম রয়েছে। এরা হলেন- এজিএম মো. সাইফুল হাসান (সাময়িক বরখাস্ত), নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন (সাময়িক বরখাস্ত), জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরী, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র অফিসার মো. ওয়াহেদুজ্জামান।
রোববার গ্রেপ্তার হওয়া সোনালী ব্যাংকের এই তিন কর্মকর্তাসহ জিএম ঢাকা কার্যালয় ও প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের মোট ১৫ কর্মকর্তাকে দুদকের মামলায় আসামি করা হয়েছে।