ফখরুলের জামিন নাকচ

ফখরুলের জামিন নাকচ

অবরোধে সহিংসতার দুটি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত।

সোমবার এ আবেদনের ওপর শুনানি করে দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন ফখরুলের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এখন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। এর আগেও হরতালে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় কারাগারে যেতে হয়েছে তাকে।

ফখরুলের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট ছানাউল্লাহ মিয়া।

রফিকুল ইসলাম মিয়া শুনানিতে বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কেন ময়লার গাড়ি পোড়াতে যাবেন? তিনি যেখানেই যান সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা সব সময়ই তার সঙ্গে থাকেন। ৯ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় তার নেতৃত্বে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে তা সংবাদ মাধ্যম কর্মীরা অবশ্যই প্রকাশ করতেন।”

রাজনৈতিকভাবে হয়রানির জন্য মির্জা ফখরুলকে এ মামলায় আসামি করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন এই আইনজীবী।

জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপি আবদুল্লাহ আবু বলেন, তার নেতৃত্বেই গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের ওপর হামলা হয়। তার নির্দেশ ছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনো ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ড চালায়নি।

“রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে এসব নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মূল পরিকল্পনায় ছিলেন মির্জা ফখরুল। তাই তাকে জামিন দেয়া উচিত হবে না”, আদালতকে বলেন তিনি।

দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে ফখরুলের আবেদন নাকচ করেন বিচারক।

গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে পল্টন ও শেরেবাংলা নগর থানার দুটি মামলায় হেফাজত চায় পুলিশ।

তবে ঢাকার হাকিম আদালত হেফাজত ও জামিন আবেদন নাকচ করে ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এরপর গত ১৮ ডিসেম্বর মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের এই আবেদন করেন ফখরুল।

গত ৯ ডিসেম্বর অবরোধে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ঢাকায় ৩৮টি মামলা হয়, যার প্রায় সবকটিতে আসামি করা হয়েছে ফখরুলকে।

ফখরুলের বিরুদ্ধে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগে পল্টন থানার মামলাটি করেন মো. আয়নাল নামে কর্পোরেশনের এক গাড়িচালক।এতে ফখরুল ছাড়াও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দুই শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।

শেরেবাংলা নগর থানার অপর মামলাটি করেন ওই থানার উপপরিদর্শক রুহুল আমিন। এই মামলায়ও ফখরুলের বিরুদ্ধে গাড়ি ভাংচুর, পুলিশের কাজে বাধা দেয়া, হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।

অন্যান্য বাংলাদেশ রাজনীতি শীর্ষ খবর