অনলাইনে তিনটি দরপত্র অনুমোদনের মধ্য দিয়ে ই-টেন্ডারিং কার্যক্রম শুরু করল যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সোমবার যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গোপালগঞ্জ জোনের ৫০ কোটি ৩৭ লাখ টাকার তিনটি দরপত্র ই-টেন্ডারিংয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত অনুমোদন দেন।
এ সময় তিনি বলেন, দরপত্রের প্রক্রিয়া আরো স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামূলক, দুর্নীতিমুক্ত ও অপকর্মমুক্ত কবার জন্য ই-টেন্ডারিং চালু করা হয়েছে।
এই কার্ক্রম শুরু করায় দরপত্র জমা দেয়া ও মূল্যায়নে গতিশীলতার পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, “টেন্ডার নিয়ে মারামারি থেকে শুরু করে খুনাখুনি পর্যন্ত হয়। পত্রিকায় ভূয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে অনেক সময় নামমাত্র টেন্ডার আহ্বান করা হতো। এখন থেকে এসব সমস্যা হবে না।”
মন্ত্রণালয়ের কর্কর্ারা জানান, সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে জাতীয় ই-গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) পোর্টাল (http://eprocure.gov.bd) তৈরি করা হয়েছে। অনলাইনে এই পোর্টালের মাধ্যমে ক্রয়কারী সংস্থা/ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ক্রয় সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ সম্পাদন করতে পারবে।
প্রথম ধাপে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বিডব্লিউডিবি), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (আরএইচডি) এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডসহ (আরইবি) ১৬টি প্রতিষ্ঠানে এবং সিপিটিইউ’তে পরীক্ষামূলকভাবে ই-টেন্ডারিং চালু হতে যাচ্ছে।
সড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ই-টেন্ডারে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। দরপত্রে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি আইডি নম্বর ও পাসওয়ার্ড থাকে।
যেহেতু দরপত্রের সব প্রকিয়া অংশগ্রহণকারী সবাই দেখতে পারেন তাই এখানে কোনোভাবেই ‘মেনিপুলেট’ করা সম্ভব নয় বলেও জানান সচিব।