সেনা অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা নস্যাৎ হওয়ার খবর প্রকাশের পর দেওয়া এক বক্তব্যে সরকারের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রের’ জন্য বিএনপিকে অভিযুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার গণভবনে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন বলে খবর দিয়েছে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস।
বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “তারা আন্দোলনের নামে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নস্যাৎ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে সরকারকে হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু হুমকি দিয়ে কোনো লাভ হবে না। সরকার তাদের হুমকির কাছে নতিস্বীকার করবে না।”
“জনগণের বিরাট আত্মত্যাগ ও নিরলস সংগ্রামের বিনিময়ে দেশের গণতন্ত্র অর্জিত হয়েছে।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে খালেদা জিয়ার কঠোর অবস্থানের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি বুঝতে পারছি না তিনি কেন বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের নির্যাতনের কথা ভুলে গেলেন।”
“মাগুরার উপ-নির্বাচন ও ১৫ ফেব্র“য়ারির প্রহসনের নির্বাচনের মতো পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়েছিলাম। ওই সময় জনগণ নির্বিঘেœ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি।” মন্তব্য করেন তিনি।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের প্রতিবাদে বিএনপি চেয়ারপার্সন ওই নির্বাচন বর্জন করেছিলেন। কিন্তু বেগম জিয়া পরে তার দলের বিজয়ী প্রার্থীকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি কখনো বলেননি নির্বাচনে ভোট কারচুপি হয়েছে।”
“এটা জনগণের সঙ্গে খালেদা জিয়ার সম্পূর্ণরূপে প্রহসন ও ছলচাতুরি ছাড়া আর কিছু নয়।”
পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তাদেরকে স্বাবলম্বী করতে চাই। অবশ্যই এ চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে।”
মতবিনিময় সভায় জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মহীউদ্দিন খান আলমগীর, সতীশ চন্দ্র রায়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।