দিল্লিতে বাসের মধ্যে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে এখনও চলছে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ। দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তি দাবি করে আজ বিক্ষোভ দেখানো হয় রাজধানী দিল্লিতে। রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে তরুণীর সমর্থনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সেখানে বিক্ষোভকারীদের যাঁদের অধিকাংশই ছিলেন মহিলা। তাঁরা দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি তোলেন।
তাঁদের মুখে ছিল একটাই স্লোগান—‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ (আমরা বিচার চাই)।
দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। যদিও পুলিশ ধৃতের পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানাতে অস্বীকার করেছে। ধৃতের বয়স নিয়ে পুলিশ কিছুটা ধন্দে রয়েছে বলে জানা গেছে। নাবালক হলে ধৃতের ব্যাপারে আইনানুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে রাতে চলন্ত বাসে এক ২৩ বছরের এক ছাত্রীকে তাঁর বন্ধুর সামনেই গণধর্ষণ করে দুষ্কৃতিরা। এরপর তাদের প্রচণ্ড মারধর করে বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে সারা দেশ। গত ১৮ ডিসেম্বর পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বাস ড্রাইভার রাম সিংহকে গ্রেফতার করে। এরপর তাকে জেরা করে তার ভাই মুকেশ ও আরও দুই সঙ্গী অ্যাসিস্ট্যান্ট জিম ইন্সট্রাক্টর বিনয় শর্মা এবং ফল বিক্রেতা পবন গুপ্তকে গ্রেফতার করা হয়। পবন ও বিনয়কে দিল্লি থেকে এবং মুকেশকে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গণধর্ষণের ঘটনায় মোট ৬ ছন জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। এরমধ্যে এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ফেরারদের সন্ধানে পুলিশ দিল্লির পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে কয়েকদিন ধরেই তল্লাশি চালাচ্ছে। এদেরই একজনকে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ আটক করে বলে জানা গেছে।এই গণধর্ষণ মামলায় দিল্লি পুলিশ আজ দিল্লি হাইকোর্টে স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করবে
এদিকে, সফদরজা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছাত্রীর শারিরীক অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক হলেও স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। তাঁকে এখনও ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। রক্ত ও পাকস্থলির সংক্রমণের বিরুদ্ধে ছাত্রীটির লড়াই করার ক্ষমতার ওপরই সবকিছু নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। গতকালই চিকিত্সকরা তাঁর লড়াকু মানসিকতার প্রশংসা করেছিলেন। কথা বলতে পারছেন না। কিন্তু কাগজে লিখেই কথা বলার চেষ্টা করছেন ওই ছাত্রী। দোষীরা ধরা পড়েছে কিনা, তা কাগজে লিখেই মায়ের কাছে জানতে চেয়েছিলেন তিনি।