‘১২ দল ডাকলেও হরতাল ছিল বিএনপি-জামায়াতের’

‘১২ দল ডাকলেও হরতাল ছিল বিএনপি-জামায়াতের’

কয়েকটি ইসলামী দলের ডাকা হরতালে ১৮ দলেরও সমর্থন ছিল দাবি করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেছেন, জনগণ এই হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে।

বৃহস্পতিবার হরতাল চলাকালে সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “১২টি ইসলামী দল হরতাল ডাকলেও এ হরতাল ছিল মূলত বিএনপি ও জামায়াতের। এর সঙ্গে ১৮ দলীয় জোটের সমর্থন আছে। তারাই এ হরতাল পালন করছে। জনগণ তাদের হরতাল প্রত্যাখান করেছে।”

জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক সব দল নিষিদ্ধের দাবিতে বামপন্থী দলগুলোর হরতালের প্রতিবাদে ইসলামী ও সমননা ১২ দলের ডাকে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা ও ঢাকায় বেলা ২টা পর্যন্ত এই হরতাল পালিত হয়।

অবশ্য এই মোর্চার আটটি দল বুধবার বিবৃতি দিয়ে জানায়, এ কর্মসূচিতে তারা নেই।বিবৃতিদাতাদের মধ্যে ইসলামী ও সমমনা ১২ দলের আহ্বায়ক মুহীউদ্দিন খানও ছিলেন।

তবে ধর্মভিত্তিক দল নিষিদ্ধের দাবিতে মঙ্গলবার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলসহ (বাসদ)বামপন্থী দলগুলো যে হরতাল করেছে,তাদের দাবির প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিবৃতিদাতারা।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো নিষিদ্ধ করার দাবি জনগণের মধ্যে জোরালো হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। যা সিদ্ধান্ত নেয়ার, তা জাতীয় সংসদেই নেয়া হবে।”

সিপিবি ও বাসদের ডাকে মঙ্গলবারের হরতাল শান্তিপূর্ণ হওয়ায় ওইদিনই তাদের ধন্যবাদ জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর।

শামসুল হক টুকু বলেন, “যুদ্ধপরাধীদের বিচার এবং ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে দেশের বাম রাজনৈতিক দলগুলো হরতাল পালন করেছে। এজন্য তারা সভা-সমাবেশও করছে। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা ও বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে নামধারী ইসলামিক দলগুলো বিভিন্ন অপচেষ্টা চালাচ্ছে।”

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ও বর্তমান আমিরসহ শীর্ষ নয় নেতা ও বিএনপির দুই জনের বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। তাদের মুক্তির দাবিতে গত ৪ ডিসেম্বর সারা দেশে হরতাল করে জামায়াতে ইসলামী। পরে অন্য দাবিতে আরো দুই দিন হরতাল করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের অভিযোগ, যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করতেই বিরোধী দলের এসব কর্মসূচি।

বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা প্রসঙ্গে টুকু বলেন, বুধবার বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া যাদের সংবর্ধনা দিয়েছেন, তাদের মধ্যে ৪২ হাজারই ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’।

“তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে এসব মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছিলেন। তাদেরই সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।”

বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকাকে একজন ‘পথভ্রষ্ট ও বিভ্রান্ত মুক্তিযোদ্ধা’ হিসাবেও উল্লেখ করেন তিনি।

অন্যান্য অর্থ বাণিজ্য জেলা সংবাদ বাংলাদেশ রাজনীতি শীর্ষ খবর