অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ থেকে বিরত থাকতে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়িয়েছে জাতিসংঘ।
বুধবার নিউ ইয়র্কে বর্ষ সমাপনী সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেন, “পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমের আশপাশে বসতি নির্মাণ নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় যে প্রচেষ্টা রয়েছে তার জন্য এটা হুমকি।”
“এই বিপজ্জনক পথ যা শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করা এবং ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে তা থেকে বিরত থাকার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের এই সংকটের দিকে নজর দিতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান জাতিসংঘ মহাসচিব।
তিনি বলেন, “খুব বেশি দেরি হওয়ার আগেই আসুন শান্তি আলোচনা আবার শুরু করি।”
ইসরায়েলের প্রতি একই দাবি তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া এই বিশ্ব সংস্থার সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী কমিটি নিরাপত্তা পরিষদের অন্য সব সদস্যও।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া নিরাপত্তা পরিষদের বাকি ১৪ সদস্য দেশ বুধবার ইসরায়েলের বসতি নির্মাণ পরিকল্পনার বিরোধিতা করে তা থেকে বিরত থাকার জন্য দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
অবশ্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, বসতি সম্প্রসারণে এগিয়ে যাবে তার সরকার।
জাতিসংঘে ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিলেও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর অবশ্য ইসরায়েলের এই বসতি নির্মাণকে ‘উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া ন্যুল্যান্ড বলেন, ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে আবারো ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।
এর মধ্যেও বুধবার ইসরায়েলের একটি কমিটি পূর্ব জেরুজালেমে নতুন একটি বসতি গড়ে সেখানে দুই হাজার ৬১০টি ঘর নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে।১৯৯৭ সালের পর এই এলাকায় বসতি নির্মাণের প্রথম উদ্যোগ নিলো দেশটি।
এদিকে, পশ্চিম তীরে বেশ কয়েকটি ইহুদি বসতিতে নতুন করে এক হাজার ঘর নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধে পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। তখন থেকে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি গড়ে তোলে ইসরায়েল।সেখানে একশ’র বেশি বসতিতে প্রায় পাঁচ লাখ ইহুদির বাস।