টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে তাবলীগ জামাতের ৪৭তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দফা আজ শুক্রবার শুরু হয়েছে। বাদ-ফজর ছয় উসুলের আমবয়ানের মধ্যদিয়ে ইজতেমার দ্বিতীয় দফার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
দ্বিতীয় দফায় লখো রাখো মুসল্লির অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে জুম্মার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। কাকরাইল মসজিদের ইমাম ক্বারী জোব্বায়ের হোসেন জুম্মার নামাজ পরিচালনা করেন। ৩৮টি জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে তাবলীগ জামাতের মুসল্লীরা বৃহস্পতিবারেই ইজতেমা ময়দানে নিজ নিজ সিত্তায় (নির্ধারিত স্থান) অবস্থান নিয়েছেন। গতকাল রাতেই দুই বর্গকিলোমিটার দীর্ঘ ও এক বর্গকিলোমিটার প্রস্থ বিশাল ইজতেমা ময়দান মুসল্লীতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজে অংশ নিতে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলাসমূহ হতে হাজার হাজার মুসল্লী ইজতেমা ময়দানের দিকে ধাবিত হন। ইজতেমা ময়দানের স্থান সংকুলান না হওয়ায় আশপাশের রাস্তা-ঘরবাড়ি এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে দাঁড়িয়ে মুসল্লীরা জুম্মার নামাজে অংশগ্রহণ করেন। জুম্মার নামাজে মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়। ১৯৬৬ সাল থেকে তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা স্থলে গত বছর থেকে দু’দফায় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আগামী রোববার দ্বিতীয় দফার আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে ৪৭তম বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে। এর আগে ১৫ জানুয়ারি প্রথম দফায় বিম্ব ইজতেমার আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পৃথক স্থান থেকে মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। ৪৭তম বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিশ্ব ইজতেমায় আগত সকল মুসল্লীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে ইজতেমার সফলতা কামনা করেছেন। বিশ্বের প্রায় শতাধিক দেশের ১৮ হাজার প্রতিনিধি এবারের বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে কয়েক হাজার মুসল্লী এখনও ইজতেমা ময়দানে অবস্থান করছেন। তাদের জন্য পৃথকভাবে থাকা-খাওয়াসহ আলাদা সুব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য প্রায় ১২ হাজার নিরাপত্তা রক্ষী ইজতেমা ময়দানে দায়িত্ব পালন করছে বলে প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে। |