জাতীয় সংসদের স্পিকার আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট বলেছেন, পদ্মা সেতুর জন্য এডিবি, বিশ্বব্যাংকের কাছে আমরা ধরনা দেই। অথচ প্রতিবছর দেশে যে দুর্নীতি হয়, সে টাকায় প্রতিবছর একটা করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। এটা শুধু এ সরকারের সময়ই নয়, সব সময়ই হচ্ছে। বিগত ৩০/৩৫ বছর ধরে এ দুর্নীতি হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি গতকাল বিকালে কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন। স্পিকার নিজের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এক দুইবার এমপি হলে অনেকের যে ধরনের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন আসে, আমি একবার ডেপুটি স্পিকার, একবার বিরোধী দলীয় উপনেতা, এখন স্পিকার এবং কয়েকবার এমপি হওয়ার পরও সেটা করতে পারিনি। কারণ আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি সততার সঙ্গে চললে কেউ কোনোদিন আর্থিক অবস্থা ভালো করতে পারে না। কিছু ভালো হতে পারে বটে, তবে অস্বাভাবিক কিছু হতে পারে না। যারা কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক, তারা এ দেশের মানুষের রক্ত শোষণ করেই হয়। মানুষকে ঠকিয়ে, ধাপ্পা দিয়ে, মানুষের টাকা মেরে, সরকারের টাকা মেরে এ ধরনের টাকার মালিক হওয়া যায়। আমি নিজে সে পথ বেছে নেইনি। তিনি বলেন, সরকার আসবে যাবে, কিন্তু এ থেকে উত্তরণ খুবই কঠিন ব্যাপার। সুযোগ পেলেই যদি অন্যের টাকা মারতে চাই, কারও পকেট কাটতে চাই, তাহলে তো উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি এ থেকে বের হয়ে জাতিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদুল আলম, জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল, সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মিয়া মো. ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন।