সিলেটে হরতালে ভাংচুর, বোমাবাজি

সিলেটে হরতালে ভাংচুর, বোমাবাজি

গাড়ি ভাংচুর, হাতবোমা বিস্ফোরণ ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে সিলেট বিভাগে জামায়াতে ইসলামীর অর্ধদিবস হরতাল চলছে।

জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে বুধবার সিলেট বিভাগে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা এই হরতাল করছে দলটি।

সকাল পৌনে ৭টার দিকে নগরীর ওসমানী মেডিকেল রোড, মিরাবাজার ও চৌকীদেখিতে হরতালের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল বের করে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মীরা।

এ সময় সিলেট-তামাবিল সড়কের মিরাবাজার সড়কে বাঁশ ফেলে তাতে আগুন ধরায় হরতালকারীরা। সেখানে একটি ট্রাকে ভাংচুরও চালানো হয়।

পরে চৌকীদেখি এলাকায় তিন থেকে চারটি গাড়ি ভাংচুর করে পালিয়ে যায় হরতালকারীরা।

সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওসমানী মেডিকেল সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে হরতাল সমর্থকরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া। হরতালকারীদের ঢিলের জবাবে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

সেখান থেকে চলে যাওয়ার পথে শিবির কর্মীরা কয়েকটি হাতবোমায় বিষ্ফোরণ ঘটায়।

এছাড়া তেমুখী ও শিবগঞ্জেও হরতালের সমর্থনে মিছিল করে ছাত্রশিবির। তেমুখীতে মিছিল শেষে
সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে তারা।

সকাল থেকে নগরীতে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল করলেও ভারী যানবাহন চলছে না। দূরপাল্লার কোনো বাস না ছাড়লেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, সকালের সব ট্রেনই সময়মতো ছেড়ে গেছে।

হরতালের কারণে রাস্তাঘাট ফাঁকা এবং দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে। নগরীর সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নগরীর আম্বরখানা, টিলাগড়, শিবগঞ্জ, বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, সিটি পয়েন্ট, হুমায়ুন রশিদ চত্বর, নাইওরপুলে দেখা যায় পুলিশের সতর্ক পাহারা।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল্লাহ আল আজাদ চৌধুরী বলেন, সকালে কয়েকটি স্থানে জামায়াত-শিবির কর্মীরা নাশকতার চেষ্টা চালালে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে তাড়িয়ে দিয়েছে।

অন্যান্য বাংলাদেশ রাজনীতি শীর্ষ খবর