দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) কোনো বিদেশি সংস্থার চাপ থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান গোলাম রহমান। দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে তিনি এ দাবি করেন।
দুদক চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্য মূলত প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের জবাব।
সোমবার দেওয়া ওই বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘সরকারের মন্ত্রীদের দুর্নীতিবাজ বানানোর চেষ্টা চলছে। দুদকের কাজে চাপ সৃষ্টি করে আন্তর্জাতিক সংস্থা আমাদের সরকারকে জনগণের কাছে হেয় করতে চায়। তা করতে পারলে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো যাবে।’
কিন্তু মঙ্গলবার বিদেশি চাপের কথা বেমালুম অস্বীকার করেন গোলাম রহমান।
দুর্নীতি বিষয়ে তদন্তকারী এ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী দাবি করেন, ‘‘স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদনের আলোকেই মামলা হয়েছে।’’
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘তাদের আইনের বাইরে রাখা হয়নি। এজাহারে তাদের নাম উল্লেখ রয়েছে। যার যা ভূমিকা ছিল তার আলোকেই মামলা হয়েছে।’’
মামলার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের কোনো পরামর্শ ছিলো কি-না-এ প্রশ্নের উত্তরে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বলেন, ‘‘বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ নয়, বরং তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে মামলা হয়েছে। মামলার পর এখন তদন্ত হবে। তদন্তে আরও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
গত সোমবার সাতজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বনানী থানায় পদ্মাসেতুর দুর্নীতির মামলা দায়ের করে দুদক।
এজাহারের বর্ণনায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীর নাম থাকলেও আসামির তালিকা থেকে তাদের ‘কৌশলে’ বাদ দেয় দুদক।
মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক সেতুসচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগে দরপত্র মূল্যায়নে গঠিত কমিটির সদস্য সচিব কাজী মো: ফেরদৌস, সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ জাবের, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্ল্যানিং কনসালট্যান্ট লিমিটেডের (ইপিসি) উপ-পরিচালক মো. মোস্তফা, এসএনসি লাভালিনের সাবেক পরিচালক (আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের) মোহাম্মদ ইসমাইল, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ সাহা ও কেভিন ওয়ালেস।