বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বিপিসি) ২০১১-১২ অর্থবছরে তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তিন কোটি ৫৫ লাখ ৪৭ হাজার টাকা (করপূর্ব মুনাফা) লাভ করেছে। যা কিনা পূর্ববর্তী অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ কোটি ৪১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা বেশি।
মোট ২৩টি ইউনিটের মধ্যে ১৮টি করপূর্ব মুনাফা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হোটেল অবকাশে পর্যটন করপোরেশনের দিনব্যাপী ৩১তম বাণিজ্যিক সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান হেমায়েত উদ্দিন তালুকদার।
পাবলিক সেক্টরের সেবামূলক বাণিজ্যিক পর্যটন প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ধারাবাহিক বাণিজ্যিক কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং উন্নত গ্রাহক সেবা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউনিট ব্যবস্থাপকদের অংশগ্রহণে সম্মেলনে সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত ২৩টি বাণিজ্যিক ইউনিটের ইউনিট প্রধানদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বাণিজ্যিক সম্মেলনে ২০১১-১২ অর্থ বছরের অক্টোবর -ডিসেম্বর ২০১১ এর আয়-ব্যয়, লাভ-ক্ষতিসহ সার্বিক বিষয়ে ইউনিটওয়ারী বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্থার পরিচালক (বাণিজ্যিক) অনন্ত কুমার চৌধুরী।
ইউনিটওয়ারী বিশ্লেষণধর্মী আলোচনায় সভাপতি প্রত্যেক ইউনিট ব্যবস্থাপকের নিকট থেকে তাদের ইউনিটের বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের সার্বিক অবস্থা বিশেষ করে আয় ও ব্যয়ের পাশাপাশি মুনাফা নিশ্চিত করা ও গ্রাহক সেবার মানবৃদ্ধি সম্পর্কে সম্যক ধারণা নেন। ইউনিট ব্যবস্থাপকগণ বাণিজ্যিক বিভাগের ছক অনুযায়ী পাওয়ারপয়েন্টে তাদের বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন।
সম্মেলনে হেমায়েত উদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গড়া প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানকে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের পথিকৃত সংস্থা হিসেবে পর্যটকদের মানসম্পন্ন সেবা প্রদানের বিষয়টি সুনিশ্চিত করে বাণিজ্যিকভাবে সফল প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা জাতির জনকের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ও তার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা সম্মান প্রদর্শনের উপযুক্ত প্রতিদান হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ সংস্থা নিজস্ব আয়ে চলা একটি প্রতিষ্ঠান। এ সত্যকে উপলব্দি করে যথাসম্ভব ব্যয় সংকোচন করে পর্যটকদের সন্তুষ্টি বিধানের মাধ্যমে বাণিজ্যিক সাফল্য অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’