আ. লীগ-বিএনপির ‘ভালোরা’ মুখ খুলুন: ড. কামাল

আ. লীগ-বিএনপির ‘ভালোরা’ মুখ খুলুন: ড. কামাল

রাজনীতিতে ‘সুস্থতা’ ফিরিয়ে আনতে যে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন, তাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ‘চাপে’ থাকা নেতাদেরও শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ড. কামাল হোসেন।

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হতাশা প্রকাশ করে মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “শীর্ষ দুই দলে অনেক ভালো লোক আছেন, কিন্ত অনেক চাপের কারণে তারা কথা বলতে পারেন না।”

এ সব নেতাদের ‘জাতীয় ঐক্যের ডাকে’ একীভূত হয়ে মুখ খোলার আহবান জানান গণফোরাম সভাপতি।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনার মধ্যেই এই আহ্বান জানালেন এক সময়ের আওয়ামী লীগ নেতা ড. কামাল।

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বৈধতা নিয়ে ড. কামালের বক্তব্যের যেমন সমালোচনা করে আসছেন শেখ হাসিনা।

সোমবার এক সভায়ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “অনেকে আছেন, যাদের ভোট করার সাহস নেই, কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার খায়েশ আছে।”

ড. কামাল বলেন, “আমাদের রাজনীতি এখন ক্ষমতা ও অর্থ কামানোর রাজনীতিতে পরিণত হয়েছে, এখানে সবাই টাকা কামানোর জন্য আসেন। এ সীমাহীন লোভ আমাদেরকে ধ্বংস করছে ।”

“দলীয়করণ করে এবং চাটুকার হয়ে আমরা দেশকে ধ্বংস করছি। নিজেদের ফায়দা লুটছি। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, যারা মানুষকে মানুষ হিসেবে মুল্যায়ন করেন না, শুধু দলীয় লোকদের মুল্যায়ন করেন, তারা স্বাধীনতাবিরোধী, সংবিধানবিরোধী।”

গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল ও বিকল্পধারা সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী সম্প্রতি ‘জাতীয় ঐক্যের ডাক’ দিয়েছেন। তারা দুজনই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে মঙ্গলবার এই আলোচনা সভা ডাকেন।

২০০৭ সালে বাতিল হওয়া নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যে মহাজোট গঠন হয়েছিল, তাতে গণফোরাম ও বিকল্পধারাও ছিল। কিন্তু পরে ২০০৮ সালে নির্বাচনের সময় তারা একসঙ্গে ছিল না।

ড. কামাল বলেন, “স্বাধীনতার অন্যতম ডাক হল দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন শান্তির যোদ্ধা। তাই ঐক্যের ডাক দিয়েছি। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রমাণ করি, এ দেশের ক্ষমতায় ও বিরোধীতে খাকা দলগুলো স্বাধীনতাবিরোধী, গণবিরোধী, মানবতাবিরোধী।”

অনুষ্ঠানে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, “এদেশে আজ যিনি আওয়ামী লীগ করেন, কাল তিনি বিএনপি করেন, কাজেই বিএনপিকর্মী ভেবে কেউ বিশ্বজিত দাসকে হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

“এই সরকার সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টি করে গণতন্ত্র বিলুপ্ত করেছে। এইসব ইস্যুতেই আমরা জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছি।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঐতিহাসিক আগরতলা মামলার অন্যতম আসামি কমান্ডর আব্দুর রউফ, মোস্তফা মহসিন মন্টু, সাবেক সংসদ সদস্য শামসুদ্দোহা, মাহি বি চৌধুরী প্রমুখ।

অন্যান্য অর্থ বাণিজ্য জেলা সংবাদ বাংলাদেশ রাজনীতি শীর্ষ খবর