ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেছেন, ‘কোরবানি ঈদের পরবর্তী এক সপ্তাহে ঢাকা থেকে ঢাকার বাইরে কোনো পশুর চামড়া যেন না যায়, সে ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক থাকবে। এছাড়াও সীমান্তে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাব ও পুলিশ থাকবে।’
রোববার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের সংকট-সম্ভাবনা, রপ্তানি-বাণিজ্য ও চোরাচালান প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি সোসাইটি ও পররাষ্ট্র বিষয়ক কেন্দ্র এ গোলটেবিলের আয়োজন করে।
গোলটেবিলে বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির সভাপতি কেএম সরফুদ্দীন। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিরাষ্ট্র বিষয়ক কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক মো. ফারুক-উর-জামান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু এই সময়টাতে অধিক টাকা লেনদেন হয়, তাই শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নয়, জনসচেতনতারও প্রয়োজন।’
এই ঈদে জাল টাকার ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকতে বলেন তিনি।
আমন্ত্রিত অতিথি শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া টেনারি হাজারীবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তরের কথা বলেন।
মৎস্য এবং প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস বলেন, ‘কোরবানী পশুর চামড়া ছাঁড়ানো ও লবণ ছেটানোর জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে সরকার।’
টেনারি মালিকরা যেসব এজেন্টের মাধ্যমে চামড়া কেনেন তাদেরকেও সচেতন করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।