২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় খালেদার পথসভা

২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় খালেদার পথসভা

অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচির পর নির্দলীয় সরকারের দাবিতে রাজধানীতে রাজপথে গণসংযোগে নামছেন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া।

আগামী ২৬ ডিসেম্বর দিনভর এই গণসংযোগের অংশ হিসাবে পাঁচটি পথসভা করবেন তিনি।

সোমবার দলের যৌথসভা শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম এই কর্মসূচির কথা জানান।

১৮ দলীয় জোটের আগের ঘোষণা অনুযায়ী খালেদা জিয়া ঢাকায় এবং জোট নেতারা সারাদেশে গণসংযোগ করবেন। এর আগে ২৩ ডিসেম্বর থানা-উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে।

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওই ব্রিফিংয়ের আগে যৌথসভায় ১৯ ডিসেম্বরের মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ, ২৩ ডিসেম্বরের দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ এবং ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় বিরোধী দলীয় নেতার গণসংযোগ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়।

পরে তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের নেত্রী ২৬ ডিসেম্বর পুরো ঢাকা শহরে গণসংযোগ করবেন। এই কর্মসূচি সফল করতে মঙ্গলবার থেকে লিফলেট বিতরণসহ প্রচার শুরু হবে”

তিনি জানান, খালেদা জিয়া গণসংযোগে রাজধানীর ৪/৫টি স্থানে পথসভায় বক্তব্য দেবেন।

“নির্দলীয় সরকারের দাবিতে জনমত গঠনের লক্ষ্যে এই কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে”, তরিকুল বলেন।

তিনি জানান, বুধবার গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপির উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা জানাবেন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া।

“সমাবেশে সারাদেশ থেকে ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেবেন। আমরা নাট্যমঞ্চ ও বহিরাঙ্গনের জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ কেবল মহানগর নাট্যমঞ্চের অনুমতি দিয়েছে।”

বহিরাঙ্গনের জন্য অনুমতি না দেয়ায় সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “সরকারকে বলতে চাই, বিএনপি রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা দল। এই দলের অনেকে রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। তাই কেবল মহানগর হলের ভেতরে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়ে সরকার প্রমাণ করেছে, তারা আমাদের মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশকে ভয় পাচ্ছে। কিন্তু এভাবে সূর্যকে আড়াল করে রাখা যাবে না।”

মহানগর নাট্যমঞ্চের এই মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ হলের আঙিনা পেরিয়ে সড়কে ছড়িয়ে পড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ নভেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করেন খালেদা জিয়া। এরপর গত ৯ ডিসেম্বর সারা দেশে ১৮ দলীয় জোটেরে উদ্যোগে ব্যাপক সহিংসতার মধ্য দিয়ে পালিত হয় রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি।

ওই অবরোধে বাধা দেয়ার অভিযোগে ১১ ডিসেম্বর সারা দেশে সকাল সন্ধ্যা হরতাল করে বিরোধী দলীয় জোট। আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসজিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার সারা দেশে আধাবেলা হরতাল করে বিএনপি।

অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, রুহুল কবির রিজভী, মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা এ বি এম মোশাররফ হোসেন, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, কাজী আসাদুজ্জামান, কবীর মুরাদ, আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, যুব দল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের নুরী আরা সাফা, শিরিন সুলতানা, জাসাস এর এম এ মালেক, মুক্তিযোদ্ধা দলের অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।

অন্যান্য বাংলাদেশ রাজনীতি শীর্ষ খবর