জাপানে নির্বাচনে বিশাল জয়ের পর দলকে সামনে এগিয়ে গিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির(এলডিপি)নেতা শিনজো আবে।
জাপানের নিম্নকক্ষের নির্বাচনে ৪৮০টি আসনের মধ্যে রক্ষণশীল দল এলডিপি প্রায় ৩০০ আসন পেয়েছে। শরিকদলসহ পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়ায়শ আসন তাদের দখলে।
ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব জাপান(ডিপিজে)ব্যাপক ব্যাবধানে হেরে যাওয়ায় পদত্যাগ করছেন প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোদা।
জাপানের ১৭তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এলডিপি’র আবেকে এখন দেশের অর্থনৈতিক স্থবিরতা কাটিয়ে ওঠা এবং চীনের সঙ্গে উত্তেজনাকর সম্পর্ক সামাল দেয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।
দল বুঝতে পেরেছে তাদেরকে ‘গুরু দায়িত্ব’ পালন করতে হবে, বলেছেন আবে।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এবারের জয়ের মানে এই নয় যে, লিবারেল ডেমাক্র্যাটিক দলের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরেছে।”
“বরং জনগণ এ রায় দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, ডিপিজে’র শাসনামলে গত তিন বছরে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা এবং রাজনৈতিক স্থবিরতার অবসান ঘটানোর কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে হবে এলডিপি’কে।”
সোমবার বেলা শেষে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল পাওয়া যেতে পারে। তবে জাপানের গণমাধ্যম সংস্থাগুলো এলডিপি ২৯৪টি আসন পেয়েছে বলে জানিয়েছে।
শরিক দল নিউ কোমেইতো পার্টির ৩১টি আসনসহ এলডিপি’র নেতৃত্বাধীন জোট পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশ আসন দখল করেছে। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দল ডিপিজে পেয়েছে ৫৭টি আসন।