সুশীল সিন্ধে জানুয়ারিতে আসছেন

সুশীল সিন্ধে জানুয়ারিতে আসছেন

বন্দি প্রত্যর্পণ ও ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার বিষয়ে দুটি চুক্তিতে সই করতে ঢাকা আসছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধে।

ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনার সন্দ্বীপ চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভারত আর বাংলাদেশের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়া আরো সহজ করতে আমরা কাজ করছি। ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের সময় এ বিষয়ে একটি চুক্তি হবে।”

এই সফরে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তিও স্বাক্ষরিত হবে বলে সন্দ্বীপ জানান।

ভারতীয় মন্ত্রী জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ঢাকা আসতে পারেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে দিল্লিতে এক বৈঠকেও এ বিষয়ে আলোচনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও ভারতের সুশীল সিন্ধে। সে সময় জানানো হয়, ভারত ও বাংলাদেশ আগামী জানুয়ারিতে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি সইয়ে একমত হয়েছে।

এই চুক্তি হলে আসামের বিদ্রোহী সংগঠন উলফার নেতা অনুপ চেটিয়াকে পাওয়ার সুযোগ হবে ভারতের, যিনি এক যুগের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে অন্তরীণ।

এর আগে আসামি প্রত্যর্পণ চুক্তি হলেও বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তি না হওয়ায় অনুপ চেটিয়াকে ভারত পাচ্ছিল না। কারণ অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢোকার জন্য উলফা নেতার সাজার মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে।

মহীউদ্দীন খান-সুশীলের ওই বৈঠকে সংশোধিত ভ্রমণ চুক্তির বিষয়েও একমত হয় দুই দেশ।

বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি

সন্দ্বীপ জানান, সুব্রত বাইন ও সাজ্জাদ হোসেনের মতো শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশের হাতে ফিরিয়ে দিতে ভারত সরকার রাজি। এর প্রক্রিয়াও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে সুব্রত বাইনকে গ্রেপ্তার করে ভারতীয় পুলিশ, আর ফাঁসির আসামি সাজ্জাদ গ্রেপ্তার হন অমৃতসরে। বাংলাদেশে এই দুই জনের বিরুদ্ধে বহু মামলা রয়েছে।

ডেপুটি হাই কমিশনার জানান, কোন কোন অপরাধে আটক ব্যক্তিদের হস্তান্তর করা যাবে তার একটি তালিকা থাকবে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তিতে। হত্যা, সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগের আসামিদের এই চুক্তির আওতায় হস্তান্তর করা যাবে।

তবে এতে হস্তান্তরের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করারও সুযোগ রাখা হবে বলে সন্দ্বীপ জানান।

অনুপ চেটিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এই উলফা নেতার রাজনৈতিক আশ্রয়ের একটি আবেদন সুপ্রিম কোর্টে বিবেচনাধীন। সেটির নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে হস্তান্তর সম্ভব নয় বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন।

সংশোধিত ভ্রমণ চুক্তি

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এই চুক্তি হলে পর্যটকরা এক বছর পর্যন্ত মেয়াদের জন্য ভিসা পাবেন, যার মাধ্যমে একাধিকরা ভ্রমণ করা যাবে। আর চিকিৎসার জন্য ভ্রমণের ক্ষেত্রে রোগীর সঙ্গে যেতে পারবেন তিন জন।

বর্তমানে ভারত সরকার বাংলাদেশি পর্যটকদের সর্বেচ্চ ছয় মাসের টুরিস্ট ভিস দেয়। আর চিকিৎসার জন্য ভ্রমণের ক্ষেত্রে রোগীর সঙ্গে যেতে পারেন একজন।

সন্দ্বীপ বলেন, “এ চুক্তি হলে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও ভিসা লাগবে না। আর শিক্ষার্থীরা তাদের পুরো মেয়াদ এক ভিসায় শেষ করতে পারবেন।”

বর্তমানে কেবল কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীরাই ভিসা ছাড়া দুই দেশে ভ্রমণ করতে পারেন।

অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিনোদন শীর্ষ খবর