মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক কমিটির চেয়ারম্যান জন কেরিকে মনোনয়ন দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র গতকাল শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আগামী বছর জানুয়ারি মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন হিলারি ক্লিনটন। ওবামা প্রশাসনের দ্বিতীয় মেয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার প্রার্থিতার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান রাইস। তবে গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছে পাঠানো এক চিঠিতে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কথা জানান রাইস।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে রিপাবলিকান পার্টির সমালোচনার কথা উল্লেখ করেন রাইস। ইসলামবিরোধী চলচ্চিত্রের প্রতিবাদে চলতি বছর ১১ সেপ্টেম্বর লিবিয়ার বেনগাজিতে মার্কিন উপদূতাবাসে হামলায় রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেনসসহ চারজন মার্কিনি নিহত হন। এ ঘটনার পর এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে রাইস বলেন, বিক্ষোভকারীদের হামলায় ওই চারজন নিহত হয়েছেন। পরে তদন্তে জানা যায়, আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জঙ্গি সংগঠন ওই হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় রাইসের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে রিপাবলিকান পার্টি।
রাইসের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ডেমোক্র্যাট দলীয় সিনেটর জন কেরির সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে। এমনকি রিপাবলিকান দলের সিনেটররাও মনে করছেন, গুরুত্বপূর্ণ এই পদ পতে যাচ্ছেন জন কেরি।
২০০৪ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী জর্জ ডব্লিউ বুশের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ডেমোক্র্যাট দলীয় কেরি। ওই নির্বাচনে খুব কম ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি।
কেরি বর্তমানে মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। দেশে-বিদেশে তাঁর ভাবমূর্তি বেশ উজ্জ্বল। এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যসহ যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অঞ্চল সম্পর্কে তাঁর স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে।