কানাডার রক্ষণশীল সরকার দেশটির অভিবাসন আইন আরও কঠোর করতে যাচ্ছে। একই সঙ্গে সহস্রাধিক অভিবাসীকে দেশ থেকে তাড়ানোর কথা ভাবছে দেশটির সরকার।
কানাডা সরকার এরই মধ্যে এক লাখ চব্বিশ হাজার মানুষকে বিতাড়নের জন্য চিহ্নিত করেছে।
লস এঞ্জেলেস টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, রক্ষণশীল সরকারের প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার কঠোর হস্তে অবৈধ অভিবাসী এবং আবেদন বাতিল হওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের বিতাড়নের জন্য কাজ করছেন।
লস এঞ্জেলেস টাইমস আরও জানায়, এরই মধ্যে এক লাখ চব্বিশ হাজার মানুষকে কানাডা থেকে বিতাড়নের করার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে।
কানাডা এরই মধ্যে আশ্রয়প্রার্থী ৪২ হাজার জনের আবেদনপত্র খারিজ করে দিয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বছরের পর বছর আবেদনের উত্তর জানার জন্য অপেক্ষা করছেন।
নতুন অভিবাসন আইনে আশ্রয় প্রার্থীদের আবেদনপত্র সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। যদি আবেদনকারীরা তাদের জীবন তাদের দেশে ঝুঁকিপূর্ণ প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। কানাডা তাদের বহিষ্কার করবে।
উল্লেখ্য, কানাডা তার দেশে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত আশ্রয়প্রার্থীকে আশ্রয় দিয়ে থাকে।
সংবাদপত্রটির মতে, আশ্রয় চেয়ে না পাওয়া অনেকেই পরবর্তী চেষ্টা হিসেবে বেছে নেবে যুক্তরাষ্ট্রকে। কারণ নিজ দেশে ফেরার চেয়ে এটা তাদের জন্য উত্তম। কানাডার এ নতুন অভিবাসন আইনের ফলে শরণার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাবে।
কানাডার ভ্যাঙ্কুভারের অভিবাসন নীতি বিশেষজ্ঞ রিচার্ড কুরল্যান্ডের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অনুপ্রবেশের হার বাড়বে।’
কুরল্যান্ড আরও বলেন, ‘ আপনি যদি এ বিশাল সংখ্যক মানুষকে তাদের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেন, তাহলে তারা অন্য জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করবে। কারণ তারা সংখ্যায় অনেক। আগামী জুন-জুলাইয়ের মধ্যেই এর সঠিক সংখ্যা জানা যাবে। নতুন এই নিয়ম কার্যকর হলেই তারা নতুন আশ্রয়ের চিন্তা করবে। যেমন ধরা যাক পাশ্বর্বর্তী উত্তর আমেরিকাতে।
কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়েরই অভিবাসী, শরণার্থী এবং আশ্রয় প্রার্থীদের সঙ্গে সহযোগিতা করার ইতিহাস আছে।