শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ শুক্রবার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল নামে। শ্রদ্ধার সঙ্গে তারা স্মরণ করছে একাত্তরে শহীদ দেশের কৃতী সন্তানদের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল আটটার দিকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
সকাল সাড়ে নয়টার দিকে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকে মানুষের ঢল নামে রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধেও। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পরিকল্পিতভাবে দেশের কৃতী সন্তানদের হত্যা করে। এর পর থেকে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
পরাজয় আসন্ন জেনে হানাদার বাহিনী ও তাদের এ-দেশীয় দোসরেরা জাতিকে মেধাশূন্য করতে দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বিজয়ের পর ভয়াবহ শারীরিক নির্যাতনের চিহ্নসহ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অনেকের মরদেহ পাওয়া যায় রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে। হানাদার বাহিনী হত্যা করে শহীদুল্লা কায়সার, ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব, অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য, ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক মুনীরুজ্জামান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ডা. ফজলে রাব্বি, ডা. আলীম চৌধুরী, ডা. গোলাম মোর্তজা, সিরাজুদ্দীন হোসেন, নিজামুদ্দীন আহমেদ, খন্দকার আবু তালেব, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, আলতাফ মাহমুদ, নূতনচন্দ্র সিংহ, আর পি সাহা, আবুল খায়ের, রশীদুল হাসান, সিরাজুল হক খান, ড. মুক্তাদির, ফজলুল মাহি, ড. সাদেক, ড. আমিনুদ্দীন, সায়ীদুল হাসান, সেলিনা পারভীনসহ আরও অনেককে।