যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে হিলারি ক্লিনটন এখন সবচেয়ে আলোচিত নাম। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রেশ কাটতে না-কাটতেই ২০১৬ সালের নির্বাচনে এখনই তাঁকে নিয়ে আলোচনা চলছে। জনমত জরিপে এগিয়ে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্মদক্ষতায় ক্রমেই নিজের অবস্থান সংহত করছেন। তবে একাধিক সাক্ষাৎকারে তিনি আর প্রার্থী হচ্ছেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
২০০৮ সালে দলের প্রাথমিক বাছাইয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন হিলারি। পরে তিনি ওবামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। গত চার বছরে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির সাফল্যের নায়ক মনে করা হয় তাঁকে। অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সব বিতর্ক থেকে তিনি নিজেকে নিরাপদ রাখতে সক্ষম হয়েছেন। ওয়াশিংটন পোস্ট এবং এবিসি নিউজের সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৬৬ শতাংশ মার্কিন হিলারির সমর্থক। ৫৭ শতাংশ মানুষ পরবর্তী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে তাঁর প্রার্থিতাকে সমর্থন করেন।
অবশ্য গত বুধবার এবিসি নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হিলারি বলেন, ‘মনে হয় না, আমি ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হব। জনগণের জন্য কাজ করার আরও বহু ক্ষেত্র রয়েছে।’ তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাক্ষাৎকারের একপর্যায়ে বলেন, স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন চান, তিনি যেন প্রার্থী হন।
ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থকদের মতে, হিলারিই হতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। ফার্স্ট লেডি হিসেবে তিনি ছিলেন জনপ্রিয়। পরে নিউইয়র্ক থেকে সিনেটর নির্বাচিত হন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে হিলারিকে নিয়ে একটা নীরব প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এখনো যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক জনপ্রিয়। মার্কিন রাজনীতি এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রচারণায় বিল ক্লিনটনের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সব ধরনের বিচার-বিশ্লেষণই ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারির প্রার্থিতার পক্ষে।